ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন

দেশ একাত্তর পরবর্তীতে সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭১ পরবর্তীকালে দেশ এখন সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, টেলিভিশন খুললেই দেখবেন বলা হচ্ছে , বিএনপি’র সংকট, কিন্তু না, আসলে এ সংকট পুরো জাতির। দেশ আজ একনায়কতন্ত্রের বুটের তলায় পিষ্ট। কেউ তাদের কথা বলতে পারছে না, কেউ স্বস্তিতে শfস-প্রশ^াস নিতে পারছেনা। যে আকাংখা নিয়ে মানুষ ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ৯০ এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছিল সে গণতন্ত্রের আকাংখা ,স্বাধীনতার স্বপ্ন পদদলিত করে আইন বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিসহ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পরবর্তীতে তাঁর নিজ জেলায় বিএনপি’র প্রথম এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সংগঠনের রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহবায়ক আনসারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীনসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকরা ধানের দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে, শ্রমিকরা পাচ্ছেনা ন্যায্য মজুরী কিন্তু সরকারের তাদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? ব্যবসায়ি সহ সাধারণ মানুষের ন্যুনতম বেঁচে থাকবার উপায় নেই। অথচ তারা গণবিরোধী বাজেটের মাধ্যমে ম্যাগা প্রকল্প চালু করে লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরানো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বাজেট প্রসংগে তিনি বলেন, বিএনপি’র কথা বাদ দেন, দেশের এমন কোনো প্রগতিশীল বা জনগণের পক্ষের অর্থনীতিবীদ, চিন্তাবীদ বা সাংবাদিক নেই যিনি বলেছেন এ বাজেটে জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো উপাদান রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের যে কর তার বেশি অংশই যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-ভাতার জন্য, তাদের বেতন ভাতা দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে, তাদের গাড়ি কিনবার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। এটার কারণ যাদের দিয়ে সরকার ভোট ডাকাতি করবে তারা যেন ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন কিন্তু এ সরকার সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যার্থ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

দেশ একাত্তর পরবর্তীতে সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে

আপডেট টাইম ১২:০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭১ পরবর্তীকালে দেশ এখন সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, টেলিভিশন খুললেই দেখবেন বলা হচ্ছে , বিএনপি’র সংকট, কিন্তু না, আসলে এ সংকট পুরো জাতির। দেশ আজ একনায়কতন্ত্রের বুটের তলায় পিষ্ট। কেউ তাদের কথা বলতে পারছে না, কেউ স্বস্তিতে শfস-প্রশ^াস নিতে পারছেনা। যে আকাংখা নিয়ে মানুষ ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ৯০ এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছিল সে গণতন্ত্রের আকাংখা ,স্বাধীনতার স্বপ্ন পদদলিত করে আইন বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিসহ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পরবর্তীতে তাঁর নিজ জেলায় বিএনপি’র প্রথম এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সংগঠনের রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহবায়ক আনসারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীনসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকরা ধানের দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে, শ্রমিকরা পাচ্ছেনা ন্যায্য মজুরী কিন্তু সরকারের তাদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? ব্যবসায়ি সহ সাধারণ মানুষের ন্যুনতম বেঁচে থাকবার উপায় নেই। অথচ তারা গণবিরোধী বাজেটের মাধ্যমে ম্যাগা প্রকল্প চালু করে লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরানো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বাজেট প্রসংগে তিনি বলেন, বিএনপি’র কথা বাদ দেন, দেশের এমন কোনো প্রগতিশীল বা জনগণের পক্ষের অর্থনীতিবীদ, চিন্তাবীদ বা সাংবাদিক নেই যিনি বলেছেন এ বাজেটে জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো উপাদান রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের যে কর তার বেশি অংশই যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-ভাতার জন্য, তাদের বেতন ভাতা দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে, তাদের গাড়ি কিনবার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। এটার কারণ যাদের দিয়ে সরকার ভোট ডাকাতি করবে তারা যেন ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন কিন্তু এ সরকার সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যার্থ।