বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে বহুল বিতর্কিত প্রত্যাবর্তন বা এক্সট্রাডিশন বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সাধারণ মানুষ। এ বিলটি পুরো হংকংকে বিভক্ত করে দিয়েছে।
ওদিকে সোমবার সকালে প্রতিবাদকারীদের একটি ছোট গ্রুপ রাস্তা ছেড়ে দেয়ার পর হারকোর্ট রোড উন্মুক্ত হয়ে যায়। বিক্ষোভ আয়োজনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন তারা বিক্ষোভ সরিয়ে তামার পার্ক এবং উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে যাবেন। এসব স্থান হারকোর্ট রোডে সরকারি সদর দপ্তরগুলোর পাশেই। আয়োজকদের এ ঘোষণার পরই ওই বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরে যান। তবে আয়োজকরা আরো বলছেন, তারা নতুন করে সংগঠিত হবেন। আবার সোমবার সকালের দিকে আগের দিনের কিছু বিক্ষোভকারী শহরে আদালতপাড়া ও সরকারি প্রধান অফিসগামী সড়কগুলোর মূল সংযোগ সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে প্রায় ৭০ টি রুটে বাস চলাচল বিঘিœত হয়। এর মধ্যে ১০টি বাসের রুট বাতিল করা হয়েছে। অন্য সার্ভিসগুলোকে অন্য রুটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ওয়ান চাই এলাকায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
শনি ও রোববার পর পর দু’দিন ছুটির দিনে এই বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েক লাখ মানুষ। এর প্রেক্ষিতে ওই বিতর্কিত বিল বাতিল করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা। তারা মনে করছেন, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলে তিনি নতুন করে ওই বিল চাপিয়ে দিতে পারেন। তাই তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হংকংবাসীকে সোমবারও ধর্মঘটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনকারী সংগঠন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট (সিএইচআরএফ)। উদ্দেশ্য, তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ তীব্র করা। ওদিকে রোববার দিন শেষে সিএইচআরএফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি সরকার উপযুক্ত সাড়া দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আরো বেশি হংকংবাসী এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন। নাগরিকরা রাস্তায় নেমে আসবেন।