সারাদিন ডেস্ক:: সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আহত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সিলেট, ৩ মার্চ। দ্য ডেইলি স্টারসিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আহত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সিলেট, ৩ মার্চ।দ্য ডেইলি স্টারশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন জানান, হামলার পরপরই মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছয়টার দিতে তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যেহেতু মাথায় আঘাত তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘ইইই ফেস্টিভ্যাল’ চলছে। আজ ছিল রোবটিক প্রতিযোগিতা। বিকেল পাঁচটার দিকে মঞ্চে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন জাফর ইকবাল। আচমকা এক যুবক মঞ্চের পেছন থেকে এসে জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ তাঁর পাশেই ছিল, কিন্তু তারা এগিয়ে আসেনি। তবে জাফর ইকবালের পাশে থাকা কয়েকজন শিক্ষক এই যুবককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই যুবককে ধরে পিটুনি দেয়। আর শিক্ষকেরা জাফর ইকবালকে মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বর্তমানে ওই যুবককে ক্যাম্পাসে শিক্ষাভবন-এ এর ভেতর রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেখানে একজন চিকিৎসক গিয়েছেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার পরপরই হামলাকারী যুবককে আটক করা হয়। তবে তিনি মরার মতো পড়ে আছেন। কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাফর ইকবালকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশই ওই হামলাকারী যুবককে ধরে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে দেয়।’
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা ‘শিক্ষকের ওপর হামলা কেন? প্রশাসন জবাই চাই’ বলে স্লোগান দেয়। হাসপাতালেও ভিড় করছেন শিক্ষার্থীরা।