ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

চা বিক্রি করে মাসে ১২ লাখ আয়

সারাদিন ডেস্ক:: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসময় চায়ের দোকানে কাজ করতেন। নীল চোখের পাকিস্তানের চাওয়ালার কথাও আমরা শুনেছি। এবার ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের নাভনাথ ইউলের চা বিক্রির গল্প শুনব।

চা বিক্রি করে আর কতই বা আয় করা যায়। কিন্তু চা বিক্রেতা লাখোপতি হয়েছেন এমন নজির আছে। তবে তাই বলে চা বিক্রি করে মাসে ১২ লাখ আয়—এমন খবর কমই শোনা যায়। ২০১১ সালে চা বিক্রি শুরু করে এখন মাসে ১২ লাখ রুপি আয় করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের নাভনাথ ইউল।

আউটলুক ইন্ডিয়া ও টাইমস নাউয়ের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে চায়ের দোকান দিয়ে রোজগার শুরু করেছিলেন নাভনাথ ইউল নামের এক ব্যক্তি। শুরুতে রোজগার ছিল খুবই কম। তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন ছিল। কিন্তু হার না মেনে ধীরে ধীরে নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন ইউল। সাফল্য আসতে শুরু করে। পাশাপাশি তাঁর দোকানে ক্রেতাদের জন্য থাকে নানা ধরনের চা। এখন পুনে শহরে তিনটি চায়ের স্টল আছে ইউলের। প্রতিটি স্টলে কাজ করেন ১২ জন করে কর্মী। আর কঠোর পরিশ্রম শেষে এখন মাসে তাঁর আয় ১০ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত ভারতীয় রুপি। দিনের হিসেবে সেই আয় ৪০ হাজার রুপির মতো।

চা বিক্রি করে নাভনাথ ইউলের আয় মাসে ১২ লাখ রুপি।চা বিক্রি করে নাভনাথ ইউলের আয় মাসে ১২ লাখ রুপি।পুনেতে তিনটি চায়ের আউটলেটের মালিক নাভনাথ ইউলের দাবি, চায়ের দোকান করে এ পর্যায়ে ব্যবসা করা সম্ভব খুব সহজেই। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আগামী দিনে তিনি ভারতের বাইরেও নিজের চায়ের স্টল খুলতে চান। দূর করতে চান অনেকের বেকারত্ব।

নাভনাথ ইউল বলেন, ‘২০১১ সালে ব্যবসা শুরুর পরই আমার মনে হয়েছে, নতুনভাবে কিছু করা দরকার। পুনেতে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু কোনো ভালো ব্র্যান্ডের চায়ের দোকান নেই। অনেকে চা খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু তাঁদের জন্য চায়ের ভালো দোকান নেই। চার বছর ধরে নানা গবেষণার পর আমি গুণগত মানের চা ক্রেতাদের সরবরাহ শুরু করি। মানের সঙ্গে আপস করিনি।’

ইউলের চায়ের একেকটি আউটলেটে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। অনেক সময় লোকের লম্বা সারিও দেখা যায়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

চা বিক্রি করে মাসে ১২ লাখ আয়

আপডেট টাইম ০৪:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মার্চ ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক:: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসময় চায়ের দোকানে কাজ করতেন। নীল চোখের পাকিস্তানের চাওয়ালার কথাও আমরা শুনেছি। এবার ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের নাভনাথ ইউলের চা বিক্রির গল্প শুনব।

চা বিক্রি করে আর কতই বা আয় করা যায়। কিন্তু চা বিক্রেতা লাখোপতি হয়েছেন এমন নজির আছে। তবে তাই বলে চা বিক্রি করে মাসে ১২ লাখ আয়—এমন খবর কমই শোনা যায়। ২০১১ সালে চা বিক্রি শুরু করে এখন মাসে ১২ লাখ রুপি আয় করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের নাভনাথ ইউল।

আউটলুক ইন্ডিয়া ও টাইমস নাউয়ের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে চায়ের দোকান দিয়ে রোজগার শুরু করেছিলেন নাভনাথ ইউল নামের এক ব্যক্তি। শুরুতে রোজগার ছিল খুবই কম। তা দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন ছিল। কিন্তু হার না মেনে ধীরে ধীরে নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন ইউল। সাফল্য আসতে শুরু করে। পাশাপাশি তাঁর দোকানে ক্রেতাদের জন্য থাকে নানা ধরনের চা। এখন পুনে শহরে তিনটি চায়ের স্টল আছে ইউলের। প্রতিটি স্টলে কাজ করেন ১২ জন করে কর্মী। আর কঠোর পরিশ্রম শেষে এখন মাসে তাঁর আয় ১০ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত ভারতীয় রুপি। দিনের হিসেবে সেই আয় ৪০ হাজার রুপির মতো।

চা বিক্রি করে নাভনাথ ইউলের আয় মাসে ১২ লাখ রুপি।চা বিক্রি করে নাভনাথ ইউলের আয় মাসে ১২ লাখ রুপি।পুনেতে তিনটি চায়ের আউটলেটের মালিক নাভনাথ ইউলের দাবি, চায়ের দোকান করে এ পর্যায়ে ব্যবসা করা সম্ভব খুব সহজেই। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আগামী দিনে তিনি ভারতের বাইরেও নিজের চায়ের স্টল খুলতে চান। দূর করতে চান অনেকের বেকারত্ব।

নাভনাথ ইউল বলেন, ‘২০১১ সালে ব্যবসা শুরুর পরই আমার মনে হয়েছে, নতুনভাবে কিছু করা দরকার। পুনেতে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু কোনো ভালো ব্র্যান্ডের চায়ের দোকান নেই। অনেকে চা খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু তাঁদের জন্য চায়ের ভালো দোকান নেই। চার বছর ধরে নানা গবেষণার পর আমি গুণগত মানের চা ক্রেতাদের সরবরাহ শুরু করি। মানের সঙ্গে আপস করিনি।’

ইউলের চায়ের একেকটি আউটলেটে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। অনেক সময় লোকের লম্বা সারিও দেখা যায়।