সারাদিন ডেস্ক:: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গণপিটুনিতে নিহত বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হতাকাণ্ডে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেছে বুয়েট অ্যালামনাই সমিতি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই দাবি জানান বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি ও সাবেক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সকাল থেকে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি পূরণে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা। এ সময় শেরে বাংলা হলের প্রোভোস্টকে প্রত্যাহারের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে সিসিটিভিতে শনাক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ভিসি ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে কেনো উপস্থিত হয়নি দুপুর ২টার মধ্যে তার জবাবদিহি করার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানায়, মামলার সকল খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে। মামলাটি দ্রুততম ট্রাইব্যুনালে অধীনে দ্রুত নিস্পত্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাত হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।