পেঁয়াজের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী। আটকে থাকা আরো ১৮০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
প্রতিবছর চাহিদা থাকায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ২ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন হিলি আমদানিকারকরা। চলতি বছরের ৬ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্যা ও উৎপাদন সঙ্কট দেখিয়ে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।
বারংবার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পুঁজি হারাতে বসেছেন হিলির আমদানিকারকরা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পচা পেঁয়াজ রাস্তার পাশে আড়ৎগুলোর সামনে রাখায় গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। দুর্ভোগে পথচারীরা আবার কেউ প্রতি বস্তা ৫০ থেকে ১০০ টাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। ভারতের অভ্যন্তরে আটকে থাকা পেঁয়াজ আমদানিসহ ক্ষতিপূরণ দাবি ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, অধিকাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। মাত্র ১১টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকেই আমাদের ক্ষতি হয়েছে অর্ধকোটি টাকা। আমাদের প্রায় ২০০ ট্রাক পেঁয়াজ আটকে রয়েছে।