জাল নিবন্ধনধারী শিক্ষকরা হলেন সুরাইয়া বেগম, প্রভাষক (সমাজবিজ্ঞান), মো. জিল্লুর রহমান, প্রভাষক (ব্যবস্থাপনা), মোসা. হুরুন্নাহার খাতুন, প্রভাষক (বিভাগ উল্লেখ নেই), মোসা. হাসিনা আক্তার, প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), শহীদ বদরুদ্দোজা, প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মোসা. ফারহানা খাতুন, প্রভাষক (ইতিহাস), মোসা. আয়শা প্রধান দিপ্তী, প্রভাষক (ইতিহাস) ও মোসা. কেয়া শারমিন, প্রভাষক (ইতিহাস)।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সুরাইয়া বেগমের নিবন্ধনটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্যজনের। তাঁর নাম রোজিনা আকতার, পিতার নাম বাশার আলী। ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জিল্লুর রহমানের নিবন্ধনও সঠিক নয়। তার রোল নম্বর ৩২৯২৫৫৬৬ যা ২০১২ সালের অষ্টম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফলাফলের তালিকায় নেই। তা-ও আবার প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা পদের নয়, সহকারী শিক্ষক, পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং পদের। মোসা. হুরুন্নাহার খাতুন, রোল নম্বর ৩২৪২৩০৫৫, প্রভাষক (বিষয়ের উল্লেখ নেই)। রোল নম্বরটি ২০১২ সালের দশম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফলাফলের তালিকায় নেই। তা ছাড়াও রোল নম্বরটি প্রভাষক পদেরও নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাসিনা আক্তারের সনদটি সঠিক নয়, রোল নম্বর ৪০৪২২০৮১। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির, তার নাম জাহাঙ্গীর আলম (রেজি নম্বর-১০০০০০৯২৭)। মো. শহীদ বদরুদ্দোজার সনদটিও সঠিক নয়। রোল নম্বরটি ২০০৭ সালের তৃতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার উত্তীর্ণ ফলাফলের তালিকায় নেই।
ফারহানা খাতুন প্রভাষক, ইতিহাস সনদটি সঠিক নয়। রোল নম্বরটি ২০১৩ সালের নবম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফলাফলের তালিকায় নেই। তা ছাড়া রোল নম্বরটি (৪০৮১৭০৭২) প্রভাষক, ইতিহাস পদের নয়, এটি সমাজজ্ঞিান বিষয়ের পদ। মোসা. আয়শা প্রধান দিপ্তী প্রভাষক, ইতিহাস। সনদটি সঠিক নয়। ৪০৫২০১৮৫ রোল নম্বরটি ২০১৩ সালের নবম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফলাফলের তালিকায় নেই। কেয়া শারমিন, প্রভাষক, ইতিহাস। তাঁর সনদটিও সঠিক নয়। ৪০৫২০৩৫৭ রোল নম্বরটি ২০১৩ সালের নবম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফলাফলের তালিকায় নেই।
সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদুন্নবী চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে কলেজে সোমবার মিটিং হয়েছে, সেখানে তাদেরকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভাইস প্রিন্সিপালকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, এই বিষয়ে কোনো চিঠি এখনো আমি পাইনি। চিঠি পেলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট পীরগঞ্জ শাহ আব্দুর রউফ কলেজ সরকারীকরণ হয়। এরপর থেকেই শিক্ষকদের সনদ যাচাই-বাচাইয়ের কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।