উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন হয়ে যায়। বিষয়টি প্রকৌশলীদের নজরে থাকে না। এটি কষ্টকর। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাঁদতে হয়। যদিও এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তারপরও পরিবেশের বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।
উদারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা বলে দেন ওমক জায়গা থেকে ওমক জায়গা পর্যন্ত রাস্তা হবে। সেটি পাশ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দেখা গেলো ওই রাস্তা সংরক্ষিত বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কাটা যাচ্ছে অনেক গাছ। যেটি প্রধানমন্ত্রী জানে না।
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়া সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে উপমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। সবার মধ্যে সমন্বয় থাকে না। এজন্য পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব পায় না। তাই সমন্বহীনতা দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি সোজাসোজি কথা বলি। আমার বাড়িতেও আপনাদের মতো একজন আছেন (খুলনার সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক)। কি সন্দুর একটি গাছ তিনি কেটে ফেললেন! পরিবেশের বিষয়ে আমি ওনাকেও ছাড় দেই না।
উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন। আপনার আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বৃক্ষনিধনের বিপরীতে বৃক্ষরোপনের বিষয়ে আরো অনুপ্রানিত হবেন।
উপমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু পরিবেশ সংরক্ষণই নয়, পরিবেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি আমাদেরও আছে। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা বননায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সবুজ বাংলাকে আরো সবুজময় করে গড়ে তুলছেন।
এ সময় পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গনে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের একটি করে চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নূরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী এমএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য দেন।