ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো সরকারের ভেতরে সরকার ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় শহীদ’ ঘোষণার নির্দেশ কেন নয় পীরগঞ্জে হুসেইন মুহাম্মদ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সোহাগ কিলিং মিশন রজনী বোস লেনে হত্যা, হাসপাতালের সামনে নিয়ে চলে বর্বরতা ভিডিও সংকটে বাংলাদেশ, ইউনূস কী করবেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁয়ের মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ

বৃক্ষনিধনে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কাঁদেন: বন উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রকৌশলীরা সন্তুষ্টির পাশাপাশি উল্লাসিত হলেও বৃক্ষনিধনে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কাঁদেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি।মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইবিবি) মিলনায়তনে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মুজিব শতবর্ষে শত বৃক্ষরোপন এবং ফলাহার’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন হয়ে যায়। বিষয়টি প্রকৌশলীদের নজরে থাকে না। এটি কষ্টকর। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাঁদতে হয়। যদিও এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তারপরও পরিবেশের বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।

উদারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা বলে দেন ওমক জায়গা থেকে ওমক জায়গা পর্যন্ত রাস্তা হবে। সেটি পাশ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দেখা গেলো ওই রাস্তা সংরক্ষিত বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কাটা যাচ্ছে অনেক গাছ। যেটি প্রধানমন্ত্রী জানে না।

উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়া সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে উপমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। সবার মধ্যে সমন্বয় থাকে না। এজন্য পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব পায় না। তাই সমন্বহীনতা দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি সোজাসোজি কথা বলি। আমার বাড়িতেও আপনাদের মতো একজন আছেন (খুলনার সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক)। কি সন্দুর একটি গাছ তিনি কেটে ফেললেন! পরিবেশের বিষয়ে আমি ওনাকেও ছাড় দেই না।

উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন। আপনার আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বৃক্ষনিধনের বিপরীতে বৃক্ষরোপনের বিষয়ে আরো অনুপ্রানিত হবেন।

উপমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু পরিবেশ সংরক্ষণই নয়, পরিবেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি আমাদেরও আছে। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা বননায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সবুজ বাংলাকে আরো সবুজময় করে গড়ে তুলছেন।

এ সময় পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গনে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের একটি করে চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নূরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী এমএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো

বৃক্ষনিধনে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কাঁদেন: বন উপমন্ত্রী

আপডেট টাইম ১০:১৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রকৌশলীরা সন্তুষ্টির পাশাপাশি উল্লাসিত হলেও বৃক্ষনিধনে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কাঁদেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি।মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইবিবি) মিলনায়তনে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মুজিব শতবর্ষে শত বৃক্ষরোপন এবং ফলাহার’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন হয়ে যায়। বিষয়টি প্রকৌশলীদের নজরে থাকে না। এটি কষ্টকর। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাঁদতে হয়। যদিও এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তারপরও পরিবেশের বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।

উদারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা বলে দেন ওমক জায়গা থেকে ওমক জায়গা পর্যন্ত রাস্তা হবে। সেটি পাশ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দেখা গেলো ওই রাস্তা সংরক্ষিত বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কাটা যাচ্ছে অনেক গাছ। যেটি প্রধানমন্ত্রী জানে না।

উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়া সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে উপমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। সবার মধ্যে সমন্বয় থাকে না। এজন্য পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব পায় না। তাই সমন্বহীনতা দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি সোজাসোজি কথা বলি। আমার বাড়িতেও আপনাদের মতো একজন আছেন (খুলনার সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক)। কি সন্দুর একটি গাছ তিনি কেটে ফেললেন! পরিবেশের বিষয়ে আমি ওনাকেও ছাড় দেই না।

উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন। আপনার আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বৃক্ষনিধনের বিপরীতে বৃক্ষরোপনের বিষয়ে আরো অনুপ্রানিত হবেন।

উপমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু পরিবেশ সংরক্ষণই নয়, পরিবেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি আমাদেরও আছে। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা বননায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সবুজ বাংলাকে আরো সবুজময় করে গড়ে তুলছেন।

এ সময় পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গনে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের একটি করে চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নূরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী এমএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য দেন।