অনলাইন ডেস্ক:: হঠাৎই আ গাম নির্বাচনের গুঞ্জন। যদিও এ নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। চোখে পড়ছে না প্রস্তুতিও। এ সম্পর্কে ইত্তেফাক এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নাকি এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচন হবে—তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কর্মকর্তাদের যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিইসি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আবার সংবিধানে ঐ সময়ের আগেও ভোট হতে পারে তার প্রভিশন রয়েছে। সংবিধান সামনে রেখেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে ভোট হলেও যেন প্রস্তুত থাকি। এরপরই আগাম নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।যদিও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইত্তেফাককে বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় আগাম নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কেননা এখনো নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ বাকি। এগুলো ছাড়া কীভাবে আগাম নির্বাচন সম্ভব তা জানি না। আগাম নির্বাচনের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সচিব বলেন, কাল হোক আর পরশু হোক সবসময় আমাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখতে হয়। সভায় সিইসি মহোদয় সবার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, আগাম নির্বাচন দিতে হলে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য উপদেশ দেবেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর উপদেশক্রমে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বহাল রাখতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী।