ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি

আহম রেহমান,ঠাকুরগাঁও::ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করায় মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আসামীরদের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধু বলেন, ‘মামলার আসামিরা আমাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আদালতে মামলা দায়েরের বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে থানায় মামলাটি রুজু করেনি বা আসামীদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছি।’
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সৌলা দোগাছি কান্তিভিটা গ্রামের মরহুম উলফত আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) প্রতিবেশী এক দিনমজুরের স্ত্রীকে (৪০) প্রায় সময় অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিতেন। ওই গৃহবধূ তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তিনি তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেন। তার স্বামী মজিবর রহমানকে এ ধরনের অশ্লিল ভাষায় কথা না বলার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। গৃহবধুর পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে মজিবর রহমান ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ৮টায় ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ মুখের কাপড় সড়িয়ে চিৎকার করলে তার স্বামী ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষক মজিবর রহমানকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করেন। এ ঘটনাটি জানা জানি হলে মজিবর রহমানের ছেলে সাজু হোসেন (২৫) ও জালাল উদ্দীন (২২)-সহ আরো অপরিচিত কয়েক ব্যক্তি হাতে লাঠি, লোহার রড ও ধারালো ছুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূকে মারধর করে। এরপর গৃহবধূকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং মজিবর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ মজিবর রহমান ও তার দুই ছেলেসহ আরো অজ্ঞাত চার/পাঁচজনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ গৃহবধূর অভিযোগ গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। গত ২ মে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে তিনি। আদালতের মামলার সংশ্লিষ্ট বিচারক বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) মামলা হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, এ ঘটনায় আদালত থেকে একটি মামলা পেয়েছি, তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট টাইম ০৪:২৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

আহম রেহমান,ঠাকুরগাঁও::ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করায় মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আসামীরদের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধু বলেন, ‘মামলার আসামিরা আমাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আদালতে মামলা দায়েরের বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে থানায় মামলাটি রুজু করেনি বা আসামীদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছি।’
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সৌলা দোগাছি কান্তিভিটা গ্রামের মরহুম উলফত আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) প্রতিবেশী এক দিনমজুরের স্ত্রীকে (৪০) প্রায় সময় অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দিতেন। ওই গৃহবধূ তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তিনি তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেন। তার স্বামী মজিবর রহমানকে এ ধরনের অশ্লিল ভাষায় কথা না বলার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। গৃহবধুর পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে মজিবর রহমান ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ৮টায় ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ মুখের কাপড় সড়িয়ে চিৎকার করলে তার স্বামী ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষক মজিবর রহমানকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করেন। এ ঘটনাটি জানা জানি হলে মজিবর রহমানের ছেলে সাজু হোসেন (২৫) ও জালাল উদ্দীন (২২)-সহ আরো অপরিচিত কয়েক ব্যক্তি হাতে লাঠি, লোহার রড ও ধারালো ছুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূকে মারধর করে। এরপর গৃহবধূকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং মজিবর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ মজিবর রহমান ও তার দুই ছেলেসহ আরো অজ্ঞাত চার/পাঁচজনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ গৃহবধূর অভিযোগ গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। গত ২ মে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে তিনি। আদালতের মামলার সংশ্লিষ্ট বিচারক বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) মামলা হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, এ ঘটনায় আদালত থেকে একটি মামলা পেয়েছি, তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।