ডেস্ক : বাজার বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে। প্রায় সব সবজির দাম কমেছে। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে সবজির দাম এখন ভোক্তার নাগালের মধ্যে।
মাসখানেক আগের চেয়ে বেশ কম দামেই সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কমেছে ডিম ও মাংসের দামও। তবে আগে থেকে বেড়ে যাওয়া চাল, আলু ও পিঁয়াজসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রায়েরবাগ, মালিবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ভোক্তারা বলছেন, শীত মৌসুমে সবজির দর আরও কম থাকার কথা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্যের দর ওঠানামার বিষয়টি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে হরতাল-অবরোধে বাজারে ক্রেতাও কমেছে। সে জন্য দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালেই।
রায়েরবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিম, বেগুন, করলাসহ বেশ কয়েকটি সবজি ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফুলকপি প্রতিটি কেনা যাচ্ছে ৩৫ টাকা করে। কাঁচামরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বাজারে আলুর দাম এখনো কমেনি। দুই মাস আগে সরকার খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণে সরকার বাজার তদারকি ও আমদানির উদ্যোগ নেয়। ভারত থেকে আলু আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। খুচরা পর্যায়ে এখনো ৫০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে আলু। যেখানে এক বছর আগে আলুর কেজি ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়।
বাজারে সবজির পাশাপাশি মুরগি ও ডিমের দামও কমতির দিকে রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬৫ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দরও আগের চেয়ে কম দামে এলাকাভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর রায়েরবাগ, শনির আখড়াসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন এবার রেকর্ড ১৭০ টাকায় উঠেছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা দরে। তবে মাছের বাজারে আগের তুলনায় তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বাজারে মাসখানেক আগে সব ধরনের চালের দর বেড়েছিল। এখনো সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে। মান ও বাজারভেদে মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫৪, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ এবং সরু চালের কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিছুদিন ধরে অস্থির চিনির বাজার। খুচরা দর ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে প্যাকেট চিনি এসব বাজারে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভারত রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার পর দেশের বাজারে আমদানি করা পিঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকা উঠেছিল। তবে একলাফে ২০ টাকার মতো দাম কমে এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে ১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পিঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।