উন্মুক্ত আসনগুলোতে লাঙ্গল প্রতীকের জয়ের সম্ভাবনা না থাকলে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ বিকেলে দিলেও তা আবার রাতে বর্জন করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।
বৃহস্পতিবার বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, মহাজোটের সমর্থনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিবেন। তবে যেখানে জয়ের সম্ভাবনা আছে তারা প্রত্যাহার করবেন না।
কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এরশাদের স্বাক্ষরিত একটা বার্তা গণমাধম্যে পাঠানো হয়। সেখানে এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবেন না। সবাইকে নির্বাচনের মাঠে থাকার নির্দেশ দেয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশ হয়েছে। মহাজোট ব্যাতীত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মুক্তভাবে নিজ নিজ আসনে লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন। কেউ নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াবেন না।
গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহাজোট থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হবে তাই মেনে নিতে হবে।
এদিকে বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব প্রশ্নের উওর আমি দিতে পারবো না।
একইভাবে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গেও নিরব থাকেন এরশাদ। এরশাদের বর্তমান শরীরের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভালো আছি তোমাদের দোয়ায়। সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচনে মহাজোটকে সমর্থন করবো। ঢাকা-১৭ আসনে আমি নির্বাচন করতাম, নানাবিধ কারণে আমি বিরত থেকে ফারুককে সমর্থন করলাম। ও আজ এসেছিল। শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য আমি রংপুর জেতে পারি নাই৷ তবে ভালো হয়ে যাব। আশা করি রংপুরের মানুষ সদয় হয়ে রংপুর-৩ আসন আমাকে উপহার দিবে৷ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি বলেন, আমার বোন শেখ হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।