আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক সঙ্কটে ইরান, রাশিয়া ও কিউবা হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় এমন অভিযোগ করেন তিনি। এর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বোল্টন দাবি করেন, ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ধ্বংস ও দমন অভিযানে কিউবা, রাশিয়া ও ইরানের মতো কিছু বহিরাগত সামরিক শক্তি পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ বিষয়টি মার্কিন সরকার সহ্য করবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে গত সপ্তাহেও বোল্টন ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইরান, রাশিয়া ও কিউবাকে দায়ী করেছিলেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমন সময় এ অভিযোগ করলেন যখন তার দেশের প্রকাশ্য সহযোগিতা নিয়ে ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিজেকে সেদেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গত সপ্তাহে ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাতে গিয়ে ব্যর্থ হন গুইদো।
আমেরিকার পাশাপাশি বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ হুয়ান গুইদোর প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন ঘোষণা করেছে। কিন্তু ইরান, রাশিয়া, চীন ও কিউবাসহ আরো কিছু দেশ ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার এ হস্তক্ষেপকামী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এসব দেশ ভেনিজুয়েলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো বলেছেন, আমেরিকা যদি তার দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করার প্রস্তাব দেয় তাহলে তিনি তা গ্রহণ করবেন। ইতালির দৈনিক লা স্তামপাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গুইদো বলেন, ভেনিজুয়েলাকে চলমান সংকট থেকে বের করে আনার জন্য তিনি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন জানাবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবারও গুয়াইদো বলেছিলেন, ভেনিজুয়েলার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তিনি বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন।