স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কী হয়েছে? তিনি কি অসুস্থ? লম্বা সময় তিনি ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় এমন প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ভিবিন্ন মহলে।
এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল মন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গিয়েছেন। প্রথমে তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। পরে ২২ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ব্যাংককে অবস্থান করছেন। তার স্ত্রীও সঙ্গে আছেন।
তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এটি মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তবে এই সুযোগে তিনি ও তার স্ত্রী মেডিকেল চেকআপটিও সেরে নিচ্ছেন।
এলজিআরডি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের একটি। এই দপ্তরের মন্ত্রীর এত লম্বা ছুটিতে যাওয়ার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তা ছাড়া বর্তমান অর্থবছর প্রায় শেষের দিকে। এই সময়ে এসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন কতটুকু হলো বা না হলো তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের অনুমোদন ও নীতিগত বিষয় মন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তাই এই মুহূর্তে এলজিআরডি মন্ত্রীর উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন ছিল বলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
তবে মন্ত্রীর অবর্তমানে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীর অবর্তমানে মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সবই নিয়ম মাফিক চলছে।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে দুই দিন আগে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রী দুজনই মেডিকেল চেকআপ করিয়ে ২২ মে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।’
এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে এডিপি বাস্তবায়নের গতি কিছুটা কম ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গতবারের কাছাকাছি পৌঁছবে বলে তিনি আশা করেন।
জানতে চাইলে এলজিআরডি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় একটু অসুস্থ। চিকিৎসার কারণে ব্যাংককে আছেন। বড় কোনো সমস্যা নেই। রেগুলার চেকআপ করিয়ে আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরতে পারেন তিনি।’