ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: জেলার পীরগঞ্জে কৃষকের গম নিয়ে প্রশাসনের রহস্যজনক লুকোচুরি ও কৃষক বাছাইয়ের লটারীতে অনিয়মের কারনে ন্যয্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষক এমন একটি সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে প্রকাশের পর এক দিনেই বন্ধ হলো সরকারী গম সংগ্রহ অভিযান।
কৃষকদের আন্দোলন ও সংবাদ প্রকাশে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে চাপের মুখে গম ক্রয় বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। গত ১৬এপ্রিল লোক দেখানো এই লটারি করে উপজেলা প্রশাসন। এতে একই পরিবারের ৫/৭ জন কৃষকের নাম লটারীতে উঠলেও হাজার হাজার কৃষকের নাম বাদ পড়ে তথাকথিত লটারী থেকে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকরা খাদ্য গুদামে জমায়েত হয়ে সংগ্রহ অভিযান বন্ধ রেখে পূনরায় লটারী করে স্বচ্ছতার সাথে গম সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। তবে কৃষকরা দাবি করেন, চলতি গম ক্রয় মৌসুমের শেষ সময়ে কৃষকের ঘরে গম না থাকলেও খাদ্য বিভাগ উপজেলা খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো.কশিরুল আলম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মোমিন সরকার, ওসিএলএসডি মাহবুব হোসেন। উদ্বোধনকালে ক্ষুব্ধ কৃষকরা বলেন, লটারীতে দুই নাম্বারী হয়েছে, লটারিতে কৃষকের নাম না দিয়ে সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে লটারী করা হয় এবং রাতারাতি অফিস বন্ধের দিন সিরিয়াল নাম্বার বদলিয়ে নিজেদের পছন্দমত লোকজনদের নাম তালিকা তৈরী করা হয়। যে তালিকায় প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে একই পরিবারের ৫/৭ জনের নাম তালিকায় দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে কৃষকরা। তারা এই লটারী বাতিল করে নতুন করে লটারীর দাবী করেন। উল্লেখ্য, ১৬ মে বিকেলে ইউএনও অফিসে লটারী অনুষ্ঠিত হয়,লটারীতে ২১ হাজার কৃষকের মধ্যে ১৬১৮ জন কৃষকের নামের সিরিয়াল ওঠে। এই কৃষকদের নামে মাথাপছিু ১ মে.টন করে গম সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা ইউএনও এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, আমরা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজনে আবার লটারি করা হবে।
এ ব্যাপারে ২৩ মে পূনরায় সংগ্রহ কমিটির সভায় গম ক্রয় স্থগিত করে পূনরায় লটারীর জন্য ২৫ মে দিন ধায্য করা হয়। সংগ্রহ কমিটির সিদ্দান্তকে অবান্তর উল্লেখ করে সাবেক এমপি ও আ’লীগ নেতা মো.ইমদাদুল হক বলেন, ইউএনও’র চোখকে ফাকি দিয়ে ৩ চেয়ারম্যান এর যোগসাজসে এই অপকর্ম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রটারী করে কোন লাভ নেই, কারন কৃষকের ঘরে এখন কোন গম নেই। একজন কৃষকও গম দিতে গুদামে আসবেনা, আসবে গম ব্যবসায়ীরাই কৃষকের কার্ড হাতে নিয়ে। তাহলে কৃষকের কি লাভ হবে? তিনি বলেন এখন ধান চালের মৌসুম, গম নিয়ে পড়ে না থেকে ধান চাল ক্রয়ের উদ্বেধন করা জরুরী ছিল।