সকাল পৌনে নয়টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে অংশ নেয় বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
বৃহত্তম এই জামাতে অংশ দিতে দিনাজপুরবাসী ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর, নীলফামারী ও জয়পুরহাটসহ আশপাশের অনেক জেলার মুসল্লি আসেন। অন্যতম বৃহৎ এই ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেন।
বগুড়া থেকে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি মোবারক হোসেন এবং আবু বক্কর সিদ্দিক জানালেন, ‘দিনাজপুরের ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
একই কথা জানালেন রংপুর থেকে আসা মুসল্লি এমদাদ হোসেন। তিনি জানালেন, জামাতে অংশ নিতে পেরে তিনি তৃপ্তি পেয়েছেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করান আলহাজ মাওলানা শামসুল হক কাসেমি।
এদিকে ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম নামাজ আদায় শেষে জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন ছিল গোর-এ-শহীদ ময়দানে।
জামাতে অংশ নেয়া জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা এসে জামাতে অংশ নিয়েছেন। এক সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকেও মুসল্লিরা এসে এই জামাতে অংশ নেবেন বলে আশা করছেন তিনি।