ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

ভারতে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একদিনে মৃত ৪০

ডেস্ক,  ১৬ জুন ২০১৯:: তাপদাহে পুড়ছে ভারত। দিল্লি, রাজস্থানের চারু, উত্তর প্রদেশের বানদা ও এলাহাবাদে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে। বিহারে শুধু শনিবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন কমপক্ষে ৪০ জন। অন্যদিকে এ মাসে এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কমপক্ষে ৮০টি শিশু। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, যখন সেলসিয়াস স্কেলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি বা তার ওপরে অবস্থান করে দু’দিন ধরে তখন সেই অবস্থাকে হিটওয়েভ বা তাপদাহ বলে ঘোষণা করা হয়। যখন পারদ স্তম্ভ ৪৭ ডিগ্রি স্পর্শ করে তখন সে পরিস্থিতিকে ‘সেভার’ বা ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু কমপক্ষে চারটি শহরে সেই মাত্রাও অতিক্রম করেছে।

এনডিটিভি লিখেছে, তাপদাহের ফলে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আওরঙ্গবাদ, গয়া ও নয়ডায়। শুধু আওরঙ্গবাদে মারা গেছেন ২৭ জন।

এখানে রাষ্ট্র পরিচালিত একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুরেন্দ্র প্রসাদ সিং বলেন, এখানে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বহু মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেসব মানুষ মারা গেছেন, তারা উচ্চ তাপমাত্রাজনিত কারণে জ্বরে ভুগছিলেন।

গয়া’তে নিহতের সংখ্যা ১২। এখানে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। তিনি বলেছেন, মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত লোকজনকে বাড়ির বাইরে না বেরুনোর পরামর্শ দিচ্ছি আমি। কারণ, তীব্র গরমে ব্রেনের ওপর প্রভাব ফেলে এবং তা থেকে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, এ বছর ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ভারতের চারটি শহরে তা রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছেছে। এ শহরগুলো হলো দিল্লি, রাজস্থানের চারু, উত্তর প্রদেশের বানদা ও এলাহাবাদ। এসব শহরে তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও উপরে।

বিহারের মুজাফফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোমের প্রাদুর্ভাব বড় স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু এই এক মাসে এই ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে এখানে মারা গেছে ৭৩টি শিশু। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধণ এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইপোগ্লিসেমিয়া নামের একটি অবস্থাকে। এ অবস্থায় রক্তে চিনির পরিমাণ একেবারে সর্বনি¤œ অবস্থায় চলে আসে। এটাই মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এত মানুষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। যারা মারা গেছেন তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে ৪ লাখ রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

ভারতে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একদিনে মৃত ৪০

আপডেট টাইম ০৪:২৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

ডেস্ক,  ১৬ জুন ২০১৯:: তাপদাহে পুড়ছে ভারত। দিল্লি, রাজস্থানের চারু, উত্তর প্রদেশের বানদা ও এলাহাবাদে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে। বিহারে শুধু শনিবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন কমপক্ষে ৪০ জন। অন্যদিকে এ মাসে এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কমপক্ষে ৮০টি শিশু। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, যখন সেলসিয়াস স্কেলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি বা তার ওপরে অবস্থান করে দু’দিন ধরে তখন সেই অবস্থাকে হিটওয়েভ বা তাপদাহ বলে ঘোষণা করা হয়। যখন পারদ স্তম্ভ ৪৭ ডিগ্রি স্পর্শ করে তখন সে পরিস্থিতিকে ‘সেভার’ বা ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু কমপক্ষে চারটি শহরে সেই মাত্রাও অতিক্রম করেছে।

এনডিটিভি লিখেছে, তাপদাহের ফলে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আওরঙ্গবাদ, গয়া ও নয়ডায়। শুধু আওরঙ্গবাদে মারা গেছেন ২৭ জন।

এখানে রাষ্ট্র পরিচালিত একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুরেন্দ্র প্রসাদ সিং বলেন, এখানে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বহু মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেসব মানুষ মারা গেছেন, তারা উচ্চ তাপমাত্রাজনিত কারণে জ্বরে ভুগছিলেন।

গয়া’তে নিহতের সংখ্যা ১২। এখানে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। তিনি বলেছেন, মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত লোকজনকে বাড়ির বাইরে না বেরুনোর পরামর্শ দিচ্ছি আমি। কারণ, তীব্র গরমে ব্রেনের ওপর প্রভাব ফেলে এবং তা থেকে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, এ বছর ভারতে সবচেয়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ভারতের চারটি শহরে তা রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছেছে। এ শহরগুলো হলো দিল্লি, রাজস্থানের চারু, উত্তর প্রদেশের বানদা ও এলাহাবাদ। এসব শহরে তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও উপরে।

বিহারের মুজাফফরপুরে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোমের প্রাদুর্ভাব বড় স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু এই এক মাসে এই ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে এখানে মারা গেছে ৭৩টি শিশু। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধণ এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইপোগ্লিসেমিয়া নামের একটি অবস্থাকে। এ অবস্থায় রক্তে চিনির পরিমাণ একেবারে সর্বনি¤œ অবস্থায় চলে আসে। এটাই মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এত মানুষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। যারা মারা গেছেন তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে ৪ লাখ রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।