টিআরএনবি’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন। রবি’র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি আমাদের সঙ্গে থাকে তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। টেলিকম খাতে আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ সরকারের খাতে চলে যায়। নীতি-নির্ধারকদের দায়িত্ব আমরা কেন গ্রামীণফোনের মতো মুনাফা করবো না।
আর এই টার্গেট পূরণের জন্য টেলিকম খাতকে বেছে নেয়া হয়েছে। অথচ অন্যান্য খাতকেও টার্গেট করা যেতে পারে। এ ধরনের পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে আয়করের দিকে সরকারের বেশি নজর দেয়া উচিত। গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন,এই খাতের মধ্যে আমরাই প্রথম পুঁজিবাজারে গিয়েছি। এজন্য করপোরেট ট্যাক্সের ওপর ১০ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া হবে। পুঁজিবাজারে যাওয়ার তিন বছরের মাথায় কর রেয়াত ৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়। এতে করে অন্য কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে যেতে নিরুৎসাহিত হবেন। এমটবের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল টি আই এম নুরুল কবির বলেন, টেলিকম খাতে ১০ শতাংশ সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা বিশ্বের কোথাও নেই। সেই সঙ্গে সিম ট্যাক্স এই খাতের প্রবৃদ্ধিকে থামিয়ে দিচ্ছে। সফটওয়্যার খাত প্রণোদনা পেয়েছে।
অথচ কখনো প্রণোদনা চায়নি। যদি সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায় তাহলে কেন ইন্টারনেট ফ্রি করা যাবে না। বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেন হচ্ছে তা খুঁজে বের করা দরকার। রবি’র চিফ করপোরেট এন্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, প্রস্তাবিত ট্যাক্স বাস্তবায়িক হলে সরকার তিন হাজার কোটি টাকা বেশি পাবে। সরকার যদি সিম ট্যাক্স না বাড়ায় তাহলে এই খাত থেকে সরকার ট্যাক্স পেত ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) মেফতাহ উদ্দিন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করেই কর কিংবা ভ্যাটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি এককভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত নয়। তিনি বলেন,স্মার্টফোনের সুফলের চেয়ে কুফলও বেশি দেখা যাচ্ছে। খুব বেশি স্ম্যার্টফোনের দরকার নেই। সব নীতিমালাতে ভালো ফল দেবে তা আশা করতে পারেন না। স্বর্ণের ডিমপাড়া হাঁস মেরে ফেলতে চাই না, যেভাবেই হোক একে বাঁচিয়ে রাখবো। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, টেলিটকের মতো প্রতিষ্ঠানকে রাখি বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এছাড়া সরকারের কিছু কাজ টেলিটক করে থাকে। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও তাকে কর, ভ্যাট দিতে হবে। নতুবা সরকার পরিচালনা করা যাবে না।