বিবাদীদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব ও লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
এডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী কোন স্ত্রী পরকীয়া করলে যার সঙ্গে পরকীয়া করবে শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে বা যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত হবে তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার পাবেন না।
এডভোকেট ইশরাত হাসান আরো বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।
এর আগে এর আগে গত ১১ই ফেব্রুয়ারি এডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। স্বামী যদি কোন বিধবা বা অবিবাহিত মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে পরকীয়ায় জড়িত হয় তা আইনত বৈধ।।