অনলাইন রিপোর্টার ॥ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার বাদ জোহর তার জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে তার ছোটভাই এবং পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জিএম কাদের বলেন, মানুষ মাত্রই ভুলক্রুটি হয়ে থাকে। তার যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, তার প্রতি যদি কোনো ক্ষোভ থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি।
জানাজা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। এ বিষয়ে সবকিছু তত্ত্বাবধান করবে সেনাবাহিনী।
এর আগে এরশাদের মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্বরে আনা হয়।
পরে সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে রাখা হয় সিএমএর হিমঘরে।
জাতীয় পার্টির সূত্র বলছে, সোমবার কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে; সেখানে তাকে দলীয় নেতাকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া ওইদিন সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে।
আর নিজ এলাকা রংপুরে নেওয়া হবে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই)। ওইদিন রংপুর জেলা স্কুলের মাঠে তার জানাজা হবে। এরপর মরদেহ ঢাকায় এনে সামরিক কবরস্থানে এরশাদের দাফন হবে।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভোগার পর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।