মো. মুকুল হোসেন::দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠি সবসময় তৎপর। এই যে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে তাতে কি সবাই খুশী হচ্ছে ? এই পদ্মাসেতু নিয়ে দেশী -বিদেশী ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। ইতি পুর্বেও এই সেতু নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগে অনাকাঙ্ক্ষিত শাস্তীর শিকার হয়েছেন অনেক বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সৎ আমলারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিক উপদেষ্টা, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, সেতু বিভাগের সচিব সবাইকে অন্যায় ভাবে হয়রানি করা হয়েছে, বলতে গেলে হয়রানি করতে বাধ্য করা হয়েছিলো। কিন্তু দিন শেষে ঠিকই প্রমাণিত হয়েছে তাদের কোন দোষ ছিলো না। সেই ষরযন্ত্রের ধারাবাহিতা এখনো অব্যাহত আছে। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে !! এটা ধারাবাহিক ষরযন্ত্রেরই অংশ। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় যাদের হিংসে হয় তারাই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে, উস্কানি দিয়ে জনমন কে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিল করতে চায়। বাংলাদেশে প্রতি বর্ষাকালেই ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পরে। বিশেষ করে পাট ও আখ যখন বড় হয়ে যায় তখনই এই গুজব বেশী হতে দেখা যায়। কিন্তু ছেলে ধরা বা কল্লা কাটা ঘটনার সত্যতা এখনো নিশ্চিত হয় নি। নেত্রকোনায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা স্রেফ একটি হত্যাকান্ড। দুষ্কৃতকারীরা পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগা ও ছেলেধরা এই দুটো বিষয়কে সুকৌশলে এক করে ফেলেছে। দেশের শান্তীপ্রিয় আপামর জনসাধারনের মধ্যে একটা ভিতীর সঞ্চার করেছে। পরিস্তিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে, বাস্তবে এগুলো একদমই গুজব। রাজধানীর মেরুন বাড্ডায় একজন মা’কে ছেলে ধরা সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে। বাস্তবে তিনি তার সন্তানের খোজ নিতে স্কুলে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে উনি একজন সিংগেল মাদার ছিলেন। এখন কে নিবে মা -বাবা হাড়া সেই শিশুর দায়িত্ব ?? দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন কে ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে যা খুবই মর্মান্তিক। যে কেও যেকোন সময় এই পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন। সব থেকে বেশী অসহায় অবস্থায় পড়েছেন রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নাম ঠিকানা বিহীন মানুষিক ভারসাম্যহীন পাগলরা। প্রতিনিয়ত এরা গণপিটুনির শিকার হচ্ছে। তবে হ্যা, নারী ও শিশু পাচার একটি জঘন্য অপরাধ, প্রচলিত আইনে যার শাস্তী অত্যন্ত ভয়াবহ। নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের অস্তিত্ব আমাদের দেশে আছে, যা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কাওকে ছেলে ধরা সন্দেহে বা গুজবের বশবর্তী হয়ে হত্যা করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় এই মৃত্যুর দায় আপনাকেই নিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কাওকে সন্দেহ হলে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করুন।পুলিশ সদর দপ্তর এ ব্যপারে সবাইকে সতর্ক করেছেন। মনে রাখবেন একটা বিশেষ শ্রেনী এই গুজব কে উস্কানি দিচ্ছে।
লেখক মোঃ মুকুল হোসেন-ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসাকর্মী