ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃত্যু-ডা. সুমাইয়া শিমু

সারাদিন ডেস্ক::ডা. সুমাইয়া শিমু এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম হলো নীরব মৃত্যু।

তার স্ক্ষাতকারটি এখানে পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো::

তিনি বলেছেন, এক নার্স (সেবীকা)হলি ক্রস মেডিক্যালে কাজ করছেন ! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয় । আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বাচ্চা ই তো পৃথিবীতে নিয়ে অাসেন অপারেশন করে , এখন অাপনার সিজার কোন চিকিৎসক করবে ?
উত্তরে জানায়, নরমাল ডেলিভারি ‘র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে । কারন ! সিজারে বাচ্চা হলে একজন
নারী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ % । অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি , কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না ! অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় ! মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয় ।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশে ‘র ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে , সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে । আমার দেশে বর্তমান সিজারে
বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারী স্বাস্থ্য’র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন
মা মারা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটির । সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী
অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের হয় না খুব একটা ।
প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু । এই ছাড়াও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় কয়েক ব্যাগ, যা ব্যবহার কমই হয় বাকীগুলো বিক্রি করা হয় । সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া !
যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে ,
চিকিৎসকরা সবই জানেন , বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে
শক্তি

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃত্যু-ডা. সুমাইয়া শিমু

আপডেট টাইম ০৫:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::ডা. সুমাইয়া শিমু এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম হলো নীরব মৃত্যু।

তার স্ক্ষাতকারটি এখানে পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো::

তিনি বলেছেন, এক নার্স (সেবীকা)হলি ক্রস মেডিক্যালে কাজ করছেন ! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয় । আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বাচ্চা ই তো পৃথিবীতে নিয়ে অাসেন অপারেশন করে , এখন অাপনার সিজার কোন চিকিৎসক করবে ?
উত্তরে জানায়, নরমাল ডেলিভারি ‘র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে । কারন ! সিজারে বাচ্চা হলে একজন
নারী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ % । অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি , কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না ! অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় ! মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয় ।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশে ‘র ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে , সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে । আমার দেশে বর্তমান সিজারে
বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারী স্বাস্থ্য’র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন
মা মারা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটির । সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী
অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের হয় না খুব একটা ।
প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু । এই ছাড়াও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় কয়েক ব্যাগ, যা ব্যবহার কমই হয় বাকীগুলো বিক্রি করা হয় । সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া !
যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে ,
চিকিৎসকরা সবই জানেন , বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে
শক্তি