অনলাইন রিপোর্টার ॥ সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে পার্থের পক্ষের আইনজীবী রহমান হাওলাদার, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, গাজী শাহ্ আলম ও ফারুক আহম্মেদ দাবি করেন, ৮০ লাখ টাকা তার (পার্থ) বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা তার স্ত্রী ডা. রুনা মল্লিকের আয়ের ও তারা সারা জীবনের জমানো। যেহেতু বৈধ আয়ের টাকা তাই তারা জামিনের আবেদন করেন।
অপরপক্ষে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, যেহেতু তিনি সরকারি চাকরিজীবী, তার বাসায় এত টাকা কোথা থেকে এসেছে, তা জানা প্রয়োজন আছে।
পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সময় রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তাই তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রবিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ভুতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। তারও আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যলয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।