সারাদিন ডেস্ক::চার্জশিট গ্রহণের আগে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই আইনটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই অনুমোদনের কথা জানান।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, অনেক দিন আলোচনার পর আইনটি আসছে। অনেক বিষয়ই বিধির জন্য রাখা হয়েছে। শফিউল বলেন, সরকারি কর্মচারীদের ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। চার্জশিট গৃহীত হলে আর অনুমোদন নেওয়া লাগবে না।
এই আইন পাস হলে দুদক ফাঁদ পেতে কোনো সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে কি না- এ প্রশ্নে সচিব বলেন,চার্জশিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চার্জশিট হওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে হলে আগে অনুমতি নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৫ বছরের ১৩ জুলাই ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন পায়নি।
তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘এটা (সরকারি কর্মচারি আইন) ছিল ১৬ ধারার ছোট আইন। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর এটা ৭১টি ধারার অনেক বড় আইন হয়ে গেছে। এজন্য মন্ত্রিসভা বলেছে এটা একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। কারণ অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে গেছে। এরপর ফের ঝুলে যায় আইনটি।
পরে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য ‘সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত আইনটির বিভিন্ন ধারা আরও চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে ৮ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করে সরকার। ওই কমিটি ৫ দফা বৈঠক করে ২৯টি প্রস্তাবসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। গত এপ্রিলে সচিব কমিটির বৈঠকে ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।