ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক পীরগঞ্জে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যান চালকের চালকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি হলেন বাবলু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ জায়া’রা ভিক্ষাবৃত্তি করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র‌্যালী পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ছাদে অবৈধ রেস্তোরাঁ, সিলিন্ডারে লিকেজ: ল্যাবএইড হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা অকটেনে ৪ টাকা, পেট্রোলে ৩ টাকা, ডিজেলে ৭৫ পয়সা কমল মজুতদারি-কালোবাজারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে সিআইডির ১২ টিম

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সমাবেশ-আমাদের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা

মুকুল হোসেন::সিরাজুল মোস্তফা, সভাপতি, রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি এর নেতৃত্বে আগস্ট ২৫ আগস্ট /১৯, কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে গণহত্যা দিবস পালনের উছিলায় খুব বড় রকমের একটি সমাবেশ করা হয়েছে। কম বেশী প্রায় ৫/৬ লক্ষ মানুষের একটি সমাবেশে,যেই সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক । সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ কে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাদের জোর করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেস্টা করা হলে পরিণতি ভালো হবে না। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা দের মানবিক কারনে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য- চিকিৎসা, বন- পরিবেশ ও জাতিয় নিরাপত্তার ঝুকি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গা শিবিরের আশেপাশে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুকিতে আছেন,তাদের প্রাত্যহিক জীবনাচরণ বিঘ্নিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রিফিউজি আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের এখনো রিফিউজির মর্যাদা দেওয়া হয় নাই। রোহিঙ্গা ইস্যু মায়ানমার সরকারের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা,তথাপি মানবিক মুল্যবোধে জাগ্রত বর্তমান সরকার এই বিপুল জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছে। দিন দিন রোহিঙ্গা শিবিরে অনৈতিক কর্মকান্ডের পরিমান বেড়েই চলেছে। তাদের সমাবেশে প্রায় প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন,বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, ছাতা, ক্যাপ, ডিজিটাল বিল বোর্ড ও হ্যান্ড মাইক দেখা গেছে। প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক এই বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদির জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তার জোগান দিচ্ছে কারা ? সেখানে তো তাদের আয়-রোজগারে কোন ব্যবস্থা নাই। তাহলে কি দেশীয় বা আন্তর্জাতিক চক্র মিলে পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য সেখানে অর্থায়ন করছে? বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এই পর্যবেক্ষণ আরও গতিশীল করা এখন সময়ের দাবি। সমাবেশে প্রায় প্রত্যেক রোহিঙ্গার হাতে মোবাইল ফোন দেখা গেছে। জাতিয় পরিচয় পত্র ছাড়া তারা (SIM) সিমকার্ড কিভাবে পেলো? বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলমান থাকলে সেখানে একটি মোবাইল সিমও সচল থাকার কথা নয়। একথা সত্যি যে এই বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে পর্যাপ্ত শৃংখলা ব্যবস্থ্যা ধরে রাখা একটু কঠিন। তথাপি বাংলাদেশের জাতিয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যপারে অধিকতর পদক্ষেপ নিজেদের স্বার্থেই নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ,বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবার নিয়ে দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া এখনো চলমান। এছাড়া বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্টি এই অঞ্চলে তাদের আধিপত্য বিস্তার ও অস্থিতিশীল করে তোলার নানারকম চেস্টায় লিপ্ত। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন কৌশলে আগানোই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে। আশাকরি দ্রুতই রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাবে, এবং বাংলাদেশ নয়, মায়ানমারই এই পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ ব্যপারে আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রয়োজনীয় কুটনৈক সহায়তা করবে এটি কাম্য। আমাদের সাবধান থাকতে হবে সিরাজুল মোস্তাফাদের মতো ব্যক্তিদের কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা ঝুকিতে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে যেন পড়তে না হয়। আশাকরি মানবিক বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সকল রাজনৈতিক দল-মত মিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি কার্যকর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে।

লেখক:: মুকুল হোসেন, ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসাকর্মী mukul7152@gmail.com

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সমাবেশ-আমাদের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা

আপডেট টাইম ১২:২৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

মুকুল হোসেন::সিরাজুল মোস্তফা, সভাপতি, রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি এর নেতৃত্বে আগস্ট ২৫ আগস্ট /১৯, কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে গণহত্যা দিবস পালনের উছিলায় খুব বড় রকমের একটি সমাবেশ করা হয়েছে। কম বেশী প্রায় ৫/৬ লক্ষ মানুষের একটি সমাবেশে,যেই সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক । সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ কে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাদের জোর করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেস্টা করা হলে পরিণতি ভালো হবে না। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা দের মানবিক কারনে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য- চিকিৎসা, বন- পরিবেশ ও জাতিয় নিরাপত্তার ঝুকি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে। রোহিঙ্গা শিবিরের আশেপাশে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুকিতে আছেন,তাদের প্রাত্যহিক জীবনাচরণ বিঘ্নিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রিফিউজি আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের এখনো রিফিউজির মর্যাদা দেওয়া হয় নাই। রোহিঙ্গা ইস্যু মায়ানমার সরকারের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা,তথাপি মানবিক মুল্যবোধে জাগ্রত বর্তমান সরকার এই বিপুল জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছে। দিন দিন রোহিঙ্গা শিবিরে অনৈতিক কর্মকান্ডের পরিমান বেড়েই চলেছে। তাদের সমাবেশে প্রায় প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন,বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, ছাতা, ক্যাপ, ডিজিটাল বিল বোর্ড ও হ্যান্ড মাইক দেখা গেছে। প্রশ্ন আসা খুবই স্বাভাবিক এই বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদির জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তার জোগান দিচ্ছে কারা ? সেখানে তো তাদের আয়-রোজগারে কোন ব্যবস্থা নাই। তাহলে কি দেশীয় বা আন্তর্জাতিক চক্র মিলে পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য সেখানে অর্থায়ন করছে? বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এই পর্যবেক্ষণ আরও গতিশীল করা এখন সময়ের দাবি। সমাবেশে প্রায় প্রত্যেক রোহিঙ্গার হাতে মোবাইল ফোন দেখা গেছে। জাতিয় পরিচয় পত্র ছাড়া তারা (SIM) সিমকার্ড কিভাবে পেলো? বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলমান থাকলে সেখানে একটি মোবাইল সিমও সচল থাকার কথা নয়। একথা সত্যি যে এই বিপুল পরিমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে পর্যাপ্ত শৃংখলা ব্যবস্থ্যা ধরে রাখা একটু কঠিন। তথাপি বাংলাদেশের জাতিয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যপারে অধিকতর পদক্ষেপ নিজেদের স্বার্থেই নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ,বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু পরিবার নিয়ে দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া এখনো চলমান। এছাড়া বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্টি এই অঞ্চলে তাদের আধিপত্য বিস্তার ও অস্থিতিশীল করে তোলার নানারকম চেস্টায় লিপ্ত। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন কৌশলে আগানোই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে। আশাকরি দ্রুতই রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাবে, এবং বাংলাদেশ নয়, মায়ানমারই এই পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ ব্যপারে আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রয়োজনীয় কুটনৈক সহায়তা করবে এটি কাম্য। আমাদের সাবধান থাকতে হবে সিরাজুল মোস্তাফাদের মতো ব্যক্তিদের কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা ঝুকিতে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে যেন পড়তে না হয়। আশাকরি মানবিক বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সকল রাজনৈতিক দল-মত মিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি কার্যকর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে।

লেখক:: মুকুল হোসেন, ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসাকর্মী mukul7152@gmail.com