ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকা শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিভাবক মহল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গেলে কেউ এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক পদে শেফালী বেগম দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। শেফালী বেগমের স্বামী আব্দুল জব্বারও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। বিদ্যালয়ে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি শুরু করেন শিক্ষিকা শেফালী বেগম। অথচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরি করছেন। এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে এখন জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে আসছেন শিক্ষিকা শেফালী বেগম।
মানুষ তৈরির কারিগররা যদি জাল সনদ দিয়ে চাকরি করেন তাহলে শিক্ষার মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এই প্রশ্ন অভিভাবক মহলের। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সকলের।
জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগ তুলে গত ২৫ জুন কয়েকজন অভিভাবক লিখিতভাবে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগীয় কর্মকর্তা, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
অভিযোগকারী অভিভাবক মশিউর রহমান বলেন, একটি বিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আসবে, আর এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিকা দীর্ঘদিন ধরে জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন, এটা কেমন করে সম্ভব।
রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা শেফালী বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, জাল সনদ দিয়ে রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা শেফালী বেগম চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।