ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পীরগঞ্জে ভিজিডি -ভিজিএফ কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

 

সারাদিন ডেস্ক ::

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দুস্থ অসহায় মহিলাদের ভিজিডি কর্মসূচিতে গরীবদের জন্য বরাদ্দকৃত কার্ড বিতরনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যাক্তি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট উদ্ধতন কতৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও কোন ফল পাননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডে অনিয়ম ও ব্যাপক দূর্নীতীর অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সংবাদকর্মী আওলাদ হোসেন লিটন সংশিষ্ট উদ্ধতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এই অনিয়মের কারণে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি ক্ষুধা দারিদ্রমুক্তসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম অব্যাহত হতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

বাংলাদেশের সব ইউনিয়নের অধীনে গ্রামা লের অসহায়-দুস্থ ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে ফ্রি ভিজিডি কর্মসূচি উপকারভোগী


কার্যক্রমের ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত ছকে ২০১৯-২০ প্রণয়নের মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি কার্ড প্রদার করা হয়। প্রতিটি কার্ডে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার নিমিত্তে পীরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার শাকিনা বিনতে শরীফ ও ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমসহ অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে ভুয়া সদস্য, ভুয়া ঠিকানা ও স্বচ্ছল বিত্তবানদের মাঝে এসব কার্ড প্রদান অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। তার মধ্যে ২২৬ জন সুফলভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে ৮০ জন কর্মমুখী পরিবার ও ৩৪ জনের স্বচ্ছল-স্বাবলম্বী পরিবার রয়েছে। স্বচ্ছল কৃষক, জমির মালিক, আম ব্যবসায়ী,


বিল্ডিং বাড়ির মালিককে এসব কার্ড দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের মাঝে ভিজিডি কার্ডের ৩০ কেজি চাল, ১০ টাকা কার্ডের চাল, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বিবাহ হয়নি এমন কন্যার নামে ভিজিডি কার্ড, কন্যার বিবাহ হয়েছে এবং শ্বশুর বাড়িতে সংসার করছে তার নামেও ভিজিডি কার্ড, কেউ বিদেশে এমনকি ইউপি সদস্যার পরিবারের নামে, গ্রাম পুলিশের নামে ভিজিডি কার্ড প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশ ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিরহলী গ্রামের ভিজিডি ১৫৭ নম্বর কার্ড পারুল আক্তারের। তার স্বামী হুমায়ুন কবির। তার উন্নত ভবনের বাড়িতে লেখা হুমায়ুন ভিলা। তার স্বামীর আবাদি জমি ১৪ বিঘা, বর্গা জমি ৫ বিঘা, ৫টি লিজকৃত বড় আম বাগান ও পীরগঞ্জের বড় আম ব্যবসায়ী

তিনি। ওই ওয়ার্ডে ভিজিডি ১৬৩ নম্বর কার্ড ফাহিমা আক্তারের। তার স্বামী সাহিনুর রহমানের ১ বিঘা জমি আছে। পাকা ভবনে বসবাস তাদের। এভাবে জমির মালিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী পরিবারে ভিজিডি কার্ড দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগে পৃথকভাবে ৩ ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাননি। এ ব্যাপারে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

পীরগঞ্জে ভিজিডি -ভিজিএফ কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম ০১:৩১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 

সারাদিন ডেস্ক ::

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দুস্থ অসহায় মহিলাদের ভিজিডি কর্মসূচিতে গরীবদের জন্য বরাদ্দকৃত কার্ড বিতরনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ব্যাক্তি এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট উদ্ধতন কতৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও কোন ফল পাননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডে অনিয়ম ও ব্যাপক দূর্নীতীর অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সংবাদকর্মী আওলাদ হোসেন লিটন সংশিষ্ট উদ্ধতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এই অনিয়মের কারণে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি ক্ষুধা দারিদ্রমুক্তসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম অব্যাহত হতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

বাংলাদেশের সব ইউনিয়নের অধীনে গ্রামা লের অসহায়-দুস্থ ও নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে ফ্রি ভিজিডি কর্মসূচি উপকারভোগী


কার্যক্রমের ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত ছকে ২০১৯-২০ প্রণয়নের মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদি কার্ড প্রদার করা হয়। প্রতিটি কার্ডে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার নিমিত্তে পীরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার শাকিনা বিনতে শরীফ ও ৬ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমসহ অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে ভুয়া সদস্য, ভুয়া ঠিকানা ও স্বচ্ছল বিত্তবানদের মাঝে এসব কার্ড প্রদান অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে। তার মধ্যে ২২৬ জন সুফলভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে ৮০ জন কর্মমুখী পরিবার ও ৩৪ জনের স্বচ্ছল-স্বাবলম্বী পরিবার রয়েছে। স্বচ্ছল কৃষক, জমির মালিক, আম ব্যবসায়ী,


বিল্ডিং বাড়ির মালিককে এসব কার্ড দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের মাঝে ভিজিডি কার্ডের ৩০ কেজি চাল, ১০ টাকা কার্ডের চাল, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বিবাহ হয়নি এমন কন্যার নামে ভিজিডি কার্ড, কন্যার বিবাহ হয়েছে এবং শ্বশুর বাড়িতে সংসার করছে তার নামেও ভিজিডি কার্ড, কেউ বিদেশে এমনকি ইউপি সদস্যার পরিবারের নামে, গ্রাম পুলিশের নামে ভিজিডি কার্ড প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশ ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিরহলী গ্রামের ভিজিডি ১৫৭ নম্বর কার্ড পারুল আক্তারের। তার স্বামী হুমায়ুন কবির। তার উন্নত ভবনের বাড়িতে লেখা হুমায়ুন ভিলা। তার স্বামীর আবাদি জমি ১৪ বিঘা, বর্গা জমি ৫ বিঘা, ৫টি লিজকৃত বড় আম বাগান ও পীরগঞ্জের বড় আম ব্যবসায়ী

তিনি। ওই ওয়ার্ডে ভিজিডি ১৬৩ নম্বর কার্ড ফাহিমা আক্তারের। তার স্বামী সাহিনুর রহমানের ১ বিঘা জমি আছে। পাকা ভবনে বসবাস তাদের। এভাবে জমির মালিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী পরিবারে ভিজিডি কার্ড দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগে পৃথকভাবে ৩ ব্যাক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাননি। এ ব্যাপারে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।