সারাদিন ডেস্ক:: শারদীয়া দুর্গা উৎসবের সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিকতা মহাঅষ্টমী ব্রত পালিত হবে আজ (রোববার, ০৬ অক্টোবর)। নতুন কাপড় আর বাহারি সাজে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে দেয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে আনন্দে মেতে উঠবে সকলে। আরাধনা করা হবে দেবী দুর্গার। হবে সন্ধি পূজা।
দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। সব নারীর মধ্যে মাতৃভাব উপলব্ধি করার জন্যই মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। এই দিনেই মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগৎ জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে কুমারী পূজা।
সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজার বিধান রয়েছে। বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়
শাস্ত্র মতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় ‘উমা’। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। পরদিন নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সর্বশেষ দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করতে মা আনন্দময়ী কৈলাশ ছেড়ে তার চার সন্তানকে নিয়ে এসেছেন পিতৃলোক তথা আমাদের এই মর্তলোকে। আর মায়ের এই আগমনকে ঘিরে জমে উঠেছে পূজা মণ্ডপগুলো।
মহাঅষ্টমী তিথিতে দেবীর কুমারী পূজাকে ঘিরে মণ্ডপগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগৎ জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে এই দিনে। জানা যায়, রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজার এই আয়োজন সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে থাকে। ফুলের মালা, চন্দন ও নানা অলঙ্কার-প্রসাধন উপাচারে নিপুণ সাজে সাজানো হবে কুমারীকে।