পীর হাবিবুর রহমান::বলেছিলাম মহাচোর শহর থেকে দুর্নীতি শুরু করে বিপুল টাকা ও বিত্তের মালিক, নাম বলিনি! কিন্তু তারা দলবল এক হয়ে কালো বিড়ালের লিখিত পরিচয় বলেছে!
একটি শহর বোধহীন হয়ে যায়! রাতারাতি দুর্নীতি করে অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে দম্ভে সকল হুশ হারিয়ে ফেলে লাজ লজ্জাহীন কালোগণ্ডার। সেদিনও গানম্যানসহ মিছিল করতে গিয়ে যাদের তাড়া খেয়ে দৌড়ে পালায়, আজ তাদের বাপ বাপ করে।আর যারা সেদিনও তাকে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করে আজ তারা গ্রাম্যরাজনীতির সূত্রে লাভলোভের মিথ্যা হিসাবে বগলদাবা করে কালোবিড়ালকে দুধ দেয়। বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাসগড়ার নমুনা।
আমি কেবল এক মহাচোরের কাহিনী বলেছিলাম, কোথাও নাম বলিনি, এখন সবাই মিলে ঐক্ষবদ্ধভাবে বলছে, এই হলো চোরের পরিচয়, আমি না চিনলেও তারা সবাই চিনেন, চোর পুষেন। সৎ রাজনীতির মডেল শহর আজ নষ্টদের জোটে বন্দী। দুর্নীতির অর্থের ভাগ যারা পায়নি তারাও করুনালাভের দাস হয়ে মুখ চেপে বসে থাকে, নজিরবিহীন অন্যায়ের মুখে।
সৎ শহরের সৎ মানুষেরাও আজ চোরকে চোর বলে না, সমীহ করে। চোরকে কেউ চোর বললে মাইন্ড করে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইদের মহামিলনের খচ্চর মুখ দেখে অনেকে মুখ টিপে হাসে। তাই বলে ঘেন্নায় গণবমি করতে আসে না।
মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান যাবে তৃণমূলে তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী বিদ্রোহীর ঘটকের ভূমিকায় চোর আশ্রয় খুঁজে নিরাপদ বেঁচে যাবার। এমন দৃশ্য এখন সারাদেশে, চোর আর চুরির মালের রক্ষার জন্য সব চোর আর নষ্টরা গাইছে কোরাস। দৃষ্টিফেরাতে আনছে আজব সিদ্ধান্ত প্রস্তাব।
কিন্তু মহান বঙ্গবন্ধুর নামে, শেখ হাসিনার বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যারা দুর্নীতির মহোৎসব করেছে, তাদের এবার রক্ষা নাই। দৃঢ়তার সাথে বলছি, অতীতের অনেক কথার মতো এটাও সত্যে পরিণত হবে, সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন, দুর্নীতির কালো বিড়াল ধরা পরবেই।
এক ভাইর হরিলুট সবখানে, আফ্রিকান মাগুর যে সে। আরেক ভাই আদালত পাড়ার বনেদি টাউট, হাজিরায় হাজিরায় আসামির কাছে টাকা নেয়, আরেক ভাই দেশ বিদেশে সহস্রজনের টাকা মেরে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে আরেকজনের বাড়ি দখল করে তদবির বাণিজ্য করে, এদের এবার জেলে যাবার সময়,অপেক্ষা করুন, মাত্র কটা দিন।(সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)