ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

ঠাকুরগাঁওয়ে এসএ রেকর্ডের জটিলতার কারণে ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা বিপর্যস্ত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কিছু মানুষের অনৈতিকতা, অতিমাত্রার লোভ, ফরটিসিক্স বা এস,এ রেকর্ডের ত্রুটি এবং যুগপোযোগী সরকারি নীতি না থাকায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা বিপর্যস্ত হতে চলেছে ঠাকুরগাঁও জেলায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়েই চলেছে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বলছেন, ভূমি সেবার সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। আর জেলা রেজিষ্ট্রার বলছেন জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজন যুগপোযোগী সরকারি নীতির।
ঠাকুরগাঁও জেলার ভূমির মালিকানা নির্ধারিত হয় ১৯১৭ সালে প্রকাশিত বৃটিশ (সি,এস) রেকর্ডের ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালে প্রকাশিত ফরটিসিক্স(এস,এ) রেকর্ড এবং পরবর্তিতে বিভিন্ন দলিলাদি, খারিজ ও হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধের মধ্য দিয়ে। বৃটিশ রেকর্ডে প্রথম পাতায় বিভিন্ন দাগের বিপরীতে মালিকদের প্রাপ্য অংশের উল্লেখ সহ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দাগ দখলের উল্লেখ থাকে। কিন্তু ফরটিসিক্স রেকর্ডে প্রথম পাতায় শুধু মালিকদের নাম উল্লেখ থাকে। এদিকে জেলার সাব-রেজিস্ট্রাররা জমি কেনা-বেচায় রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে শুধু খোষ কবলা দলিলে ফরটিসিক্স রেকর্ড এবং সাথে খারিজ অথবা খাজনা পরিশোধের যে কোন একটি দেখে থাকেন। অন্যদিকে হেবা, হেবা বিল এওয়াজ ও পাওয়ার অব এটর্নি দলিল সহ অন্যান্য দলিল  রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে শুধু ফরটিসিক্স রেকর্ডে মালিকদের নাম উল্লেখ দেখেন তারা। অন্য কিছু দেখেন না। এতে বিপর্যস্ত হতে চলেছে জেলার ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাপনা। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দিনে দিনে বাড়ছে মামলাজট। কারণ ভূমি মালিকানা নির্ধারনে আদালত ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়মনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদিকে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আর ফরটিসিক্স রেকর্ডের দূর্বলতায় উৎসবে মেতেছে অসৎ, লোভী আর ভূমিদস্যুরা। তারা ঐ রেকর্ডে পূর্ব পুরুষদের নাম আছে এরকম ওয়ারিশ এবং জের ওয়ারিশদের টাকার লোভ আর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে, তাদের জমি থাক বা না থাক অন্য ওয়ারিশের প্রিয় জমিটুকুর বিপরীতে দলিল সৃষ্টি করছে এবং শক্তি প্রয়োগ করে দখল করে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত মালিকরা হারাচ্ছে তাদের যতে গড়া মার্কেট, বাড়ী-ঘর আর ভূসম্পত্তি। আদালত প্রাঙ্গনে বাড়ছে মানুষের পদচারণা আর দীর্ঘ মাস । মামলার রায় পেতে বেঁচে বছরের পর বছর কেটে যায়। হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টতো আছেই।  এ বিষয়ে শহরের আশ্রমপাড়ার আব্দুল মজিদ বলেন, ১৯৯০ সালে আমি রেকর্ডিয় মূল মালিকের কাছে জমি কিনেছি। সে অনুযায়ী খারিজ করেছি আর হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ করছি। কেনার সময় কাগজপত্র দেখেশুনে কিনেছি অথচ যাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কিনেছি তাদের নাতি-পুতিরা এখন ফরটিসিক্স রেকর্ডের বলে মালিকানা দাবি করছে। আমার জমি ফাঁকা থাকার কারণে তারা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে বিভিন্ন দলিল সৃষ্টি করে আমাকে জমি থেকে বেদখল করে ঘরবাড়ী করছে । এই ফরটিসিক্স রেকর্ডের কারণে রেজিস্ট্রেশনে অত্যাধিক সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। রেজিস্ট্রি অফিস কাগজ পত্র ঠিকমত যাচাই না করে শুধু ফরটিসিক্স রেকর্ডে পূর্বপুরুষদের নাম দেখে ওয়ারিশদের জমি থাক বা না থাক রেজিস্ট্রি করে দলিল সৃষ্টি করছে । মূলত ভূমিদস্যুরাই রেকর্ডের মালিকদের ওয়ারিশদের লোভে ফেলে তাদের দিয়ে এসব করাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরবর্তিতে জমি দখল করছে। এতে প্রকৃত মালিকরা নিরুপায় হয়ে মামলা করছে আর এতে মামলাজট সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থায় শহরের শাহাপাড়ার শরিফুল ইসলাম, দক্ষিন সালন্দরের ফয়জুল ইসলাম ও শাহাপাড়ার মনসুর আলীর।
ঠাকুরগাঁও জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র অ্যাড. মহসিন আলী বলেন,আদালত আর রেজিস্ট্রেশন আইনে জমির মালিকানা নির্ধারণ সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। জমির মালিকানার যে ধারাবাহিকতা আছে সেটা সহকারী কমিশনার ভূমি ও সাব-রেজিস্ট্রার মহোদয়কে একই নীতি অনুসরণ করতে হবে। এতে ৪০-৫০ পারসেন্ট মামলা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি । অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমি সেবা দিতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হচ্ছি। জমির অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাটোয়ারা না থাকা এবং ফরটিসিক্স খতিয়ানের কিছু ত্রূটি বিচ্যুতির কারনে একজনের জমি আরেকজন দলিল সৃষ্টি করছে। তিনি আরো বলেন, যে তিনটি ডিপার্টমেন্ট ভূমি সেবা দিয়ে থাকে সেগুলিকে এক ছাতার নীচে আনার চেষ্টা করছে সরকার। ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আবু তালেব সরকার জানান, ফরটিসিক্স রেকর্ডে পূর্বপূরুষের নাম থাকার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রেশন করছি। জমির ওয়ারিশ বেশী থাকলে তারা পারিবারিক বন্টক করে, খারিজ, খাজনা পরিশোধ করে যদি হস্তাান্তর করতে আসে তাহলে মামলা জট থাকবে না। সব ধরনের দলিল সৃষ্টিতে খারিজ, খাজনা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ঠাকুরগাঁওয়ে এসএ রেকর্ডের জটিলতার কারণে ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা বিপর্যস্ত

আপডেট টাইম ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে কিছু মানুষের অনৈতিকতা, অতিমাত্রার লোভ, ফরটিসিক্স বা এস,এ রেকর্ডের ত্রুটি এবং যুগপোযোগী সরকারি নীতি না থাকায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা বিপর্যস্ত হতে চলেছে ঠাকুরগাঁও জেলায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়েই চলেছে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বলছেন, ভূমি সেবার সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। আর জেলা রেজিষ্ট্রার বলছেন জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজন যুগপোযোগী সরকারি নীতির।
ঠাকুরগাঁও জেলার ভূমির মালিকানা নির্ধারিত হয় ১৯১৭ সালে প্রকাশিত বৃটিশ (সি,এস) রেকর্ডের ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালে প্রকাশিত ফরটিসিক্স(এস,এ) রেকর্ড এবং পরবর্তিতে বিভিন্ন দলিলাদি, খারিজ ও হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধের মধ্য দিয়ে। বৃটিশ রেকর্ডে প্রথম পাতায় বিভিন্ন দাগের বিপরীতে মালিকদের প্রাপ্য অংশের উল্লেখ সহ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দাগ দখলের উল্লেখ থাকে। কিন্তু ফরটিসিক্স রেকর্ডে প্রথম পাতায় শুধু মালিকদের নাম উল্লেখ থাকে। এদিকে জেলার সাব-রেজিস্ট্রাররা জমি কেনা-বেচায় রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে শুধু খোষ কবলা দলিলে ফরটিসিক্স রেকর্ড এবং সাথে খারিজ অথবা খাজনা পরিশোধের যে কোন একটি দেখে থাকেন। অন্যদিকে হেবা, হেবা বিল এওয়াজ ও পাওয়ার অব এটর্নি দলিল সহ অন্যান্য দলিল  রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে শুধু ফরটিসিক্স রেকর্ডে মালিকদের নাম উল্লেখ দেখেন তারা। অন্য কিছু দেখেন না। এতে বিপর্যস্ত হতে চলেছে জেলার ভূমি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাপনা। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দিনে দিনে বাড়ছে মামলাজট। কারণ ভূমি মালিকানা নির্ধারনে আদালত ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়মনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদিকে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আর ফরটিসিক্স রেকর্ডের দূর্বলতায় উৎসবে মেতেছে অসৎ, লোভী আর ভূমিদস্যুরা। তারা ঐ রেকর্ডে পূর্ব পুরুষদের নাম আছে এরকম ওয়ারিশ এবং জের ওয়ারিশদের টাকার লোভ আর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে, তাদের জমি থাক বা না থাক অন্য ওয়ারিশের প্রিয় জমিটুকুর বিপরীতে দলিল সৃষ্টি করছে এবং শক্তি প্রয়োগ করে দখল করে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত মালিকরা হারাচ্ছে তাদের যতে গড়া মার্কেট, বাড়ী-ঘর আর ভূসম্পত্তি। আদালত প্রাঙ্গনে বাড়ছে মানুষের পদচারণা আর দীর্ঘ মাস । মামলার রায় পেতে বেঁচে বছরের পর বছর কেটে যায়। হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টতো আছেই।  এ বিষয়ে শহরের আশ্রমপাড়ার আব্দুল মজিদ বলেন, ১৯৯০ সালে আমি রেকর্ডিয় মূল মালিকের কাছে জমি কিনেছি। সে অনুযায়ী খারিজ করেছি আর হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ করছি। কেনার সময় কাগজপত্র দেখেশুনে কিনেছি অথচ যাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কিনেছি তাদের নাতি-পুতিরা এখন ফরটিসিক্স রেকর্ডের বলে মালিকানা দাবি করছে। আমার জমি ফাঁকা থাকার কারণে তারা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে বিভিন্ন দলিল সৃষ্টি করে আমাকে জমি থেকে বেদখল করে ঘরবাড়ী করছে । এই ফরটিসিক্স রেকর্ডের কারণে রেজিস্ট্রেশনে অত্যাধিক সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। রেজিস্ট্রি অফিস কাগজ পত্র ঠিকমত যাচাই না করে শুধু ফরটিসিক্স রেকর্ডে পূর্বপুরুষদের নাম দেখে ওয়ারিশদের জমি থাক বা না থাক রেজিস্ট্রি করে দলিল সৃষ্টি করছে । মূলত ভূমিদস্যুরাই রেকর্ডের মালিকদের ওয়ারিশদের লোভে ফেলে তাদের দিয়ে এসব করাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরবর্তিতে জমি দখল করছে। এতে প্রকৃত মালিকরা নিরুপায় হয়ে মামলা করছে আর এতে মামলাজট সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থায় শহরের শাহাপাড়ার শরিফুল ইসলাম, দক্ষিন সালন্দরের ফয়জুল ইসলাম ও শাহাপাড়ার মনসুর আলীর।
ঠাকুরগাঁও জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র অ্যাড. মহসিন আলী বলেন,আদালত আর রেজিস্ট্রেশন আইনে জমির মালিকানা নির্ধারণ সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। জমির মালিকানার যে ধারাবাহিকতা আছে সেটা সহকারী কমিশনার ভূমি ও সাব-রেজিস্ট্রার মহোদয়কে একই নীতি অনুসরণ করতে হবে। এতে ৪০-৫০ পারসেন্ট মামলা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি । অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ভূমি সেবা দিতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুক্ষীন হচ্ছি। জমির অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাটোয়ারা না থাকা এবং ফরটিসিক্স খতিয়ানের কিছু ত্রূটি বিচ্যুতির কারনে একজনের জমি আরেকজন দলিল সৃষ্টি করছে। তিনি আরো বলেন, যে তিনটি ডিপার্টমেন্ট ভূমি সেবা দিয়ে থাকে সেগুলিকে এক ছাতার নীচে আনার চেষ্টা করছে সরকার। ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আবু তালেব সরকার জানান, ফরটিসিক্স রেকর্ডে পূর্বপূরুষের নাম থাকার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রেশন করছি। জমির ওয়ারিশ বেশী থাকলে তারা পারিবারিক বন্টক করে, খারিজ, খাজনা পরিশোধ করে যদি হস্তাান্তর করতে আসে তাহলে মামলা জট থাকবে না। সব ধরনের দলিল সৃষ্টিতে খারিজ, খাজনা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।