আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন সম্প্রতি দেশটির নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এই ব্যবস্থাকে তিনি বলছেন, সার্বজনীন পয়েন্টভিত্তিক পেনশন স্কিম। নতুন এই স্কিমের আওতায় দেশটির সব নাগরিককে একটি একক পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর এ পয়েন্টভিত্তিক পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট করছেন দেশটির নাগরিকরা। তাতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে দেশটির যোগাযোগ খাতে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের বিমানবন্দরগুলো থেকে এক-পঞ্চমাংশ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাস, মেট্রো ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে যোগাযোগের প্রায় সব খাতে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট একইভাবে চলছে শুক্রবারও। প্রায় সব ধরনের পেশাজীবী ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা এ ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছেন পুলিশ, আইনজীবী, হাসপাতাল ও বিমানবন্দরের কর্মীরা।
বিভিন্ন পেশাজীবীদের পেনশন কমানো বা দেরিতে অবসর নিতে বাধ্য করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের রাজপথে নেমে আসেন প্রায় আট লাখ মানুষ। অবশ্য ইউনিয়নগুলো বলছে, রাজপথে নেমে আসা মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবারের (সিজিটি ইউনিয়ন) দাবি, ম্যাক্রনের পেনশন স্কিমের বিরোধিতা করতে এদিন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ছিলেন রাজপথে। দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এদিন বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের কোনোটিই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবারও বিমান বা রেল চলাচলের পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাজধানী প্যারিসের খুব সামান্য কিছু পরিবহনই চলাচল করতে পারছে। প্যারিসের বাস ও মেট্রো অপারেটররা জানিয়েছেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত তাদের এরকম অচলাবস্থায় থাকতে হবে।
এদিকে, রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের অন্যান্য ইউনিয়নগুলোও আজ বৈঠকে বসবে। বৈঠক থেকে ধর্মঘটের পরবর্তী রূপরেখা নির্ধারিত হতে পারে আজই।