সারাদিন ডেস্ক::ভারতের প্রখ্যাত ইসলামিক ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের কাছে যে গোপন প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন মোদি-অমিত শাহ। কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেই ভারতে ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়া হত তাকে। তুলে নেয়া হত তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা। তবে মোদি সরকারের দেয়া ওই টোপ প্রত্যাখ্যান করেছেন জাকির নায়েক। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন জাকির নায়েক।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় জাকির নায়েক জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে সরকারকে সমর্থন করলে তার বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হয়ে তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন। তারা তাকে বলেন, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে কেন্দ্র তাকে কাজে লাগাতে চায়।
জাকির নায়েকের আরও দাবি, উত্তর ভারত নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানে সহমত হলে তার দেশে ফিরে আসতেও সমস্যা হবে না বলে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। যদিও তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে এ ধরনের কোনও সমঝোতায় যাননি বলেই জানিয়েছেন।
তার কথায়, ‘প্রথম আমি বলেছিলাম, কোরআন ও সুন্নাহর বিরোধী নয়, এমন যা-কিছু আছে আমি তা করতে প্রস্তুত। কিন্তু, যখন শুনলাম কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে আমায় সমর্থন জানাতে হবে, তখন সরকারের ওই প্রস্তাব আমি খারিজ করে দিই।’
জাকির নায়েক মনে করেন, ভারতের কোনও মুসলিম নেতা স্বেচ্ছায় সিএএ বা এনআরসিকে সমর্থন করবেন না। ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে তাদের থেকে সমর্থন আদায় করা হয়েছে।
ভারতের আদালতে অর্থ পাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে দেশটির সব প্রদেশে তার ধর্মীয় বক্তব্য প্রদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন তিনি। ২০১৮ সালে দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
প্রায় তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। সেখানে তাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।