ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

ডেক্সামেথাসন করোনার চিকিৎসায় কার্যকরী: বৃটিশ গবেষণা

ডেস্ক::করোনার চিকিৎসার জন্য ডেক্সামেথাসন নামের এক ঔষধের কার্যকরীতার প্রমাণ পেয়েছেন বৃটিশ বিজ্ঞানীরা। একইসঙ্গে তাদের উচ্চগুনসম্পন্ন পরীক্ষায় করোনার কি চিকিৎসা কার্যকর হবে এবং হবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বৃটিশ বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত একমাত্র কার্যকর করোনার ঔষধের খোঁজ দিয়েছেন। আরো একাধিক গবেষণায় জানা গেছে ম্যালেরিয়ার ঔষধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনার ঔষধ হিসেবে কাজ করে না।
বিশ্বজুড়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কোনো চিকিৎসা কার্যকরী প্রমাণ না হওয়ায় করোনা চিকিৎসা এখনো বিভিন্ন ধারনার ওপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে। মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ফাউচি বলেন, অসম্পন্ন গবেষণা বাদ দিয়ে আমাদের এখন বৃটিশদের মতো গবেষণা দরকার। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু দিকে সফলতা পাওয়া গেছে করোনা চিকিৎসায়। তারমধ্যে রয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি বৃটিশ গবেষণা। এতে এক ধরণের স্টেরয়েডের পরীক্ষা চালানো হয়েছে যা কার্যকরীভাবে দেহে করোনার প্রকোপ কমিয়ে দিতে পারে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২,১০৪ জন রোগীর মধ্যে এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তাদেরকে তুলনা করা হয়েছে ৪,৩২১ জন রোগীর সঙ্গে যারা স্বাভাবিক চিকিৎসা পেয়ে আসছিলেন।
ফলাফলে জানা গেছে, এটি গুরুতর অসুস্ত রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় ৩৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। একইসঙ্গে যাদের শুধু অক্সিজেন লাগছে তাদের ক্ষেত্রেও এই ঔষধ মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে। তবে এটি প্রাথমিক অবস্থায় দেয়া ঝুকিপূর্ন বলে মনে করছেন গবেষকরা। যাদের সাধারণ উপসর্গ ছিল তাদেরকে এই ঔষধ দেয়ার পর মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই হার ছিল ১৪ শতাংশ। ফাউচি মনে করেন, কাকে এই ঔষধ দেয়া যাবে ও কাকে যাবে না তা নির্ধারণ করতে পারলেই অনেক জীবন বাচানো যাবে।
এর আগে রেমডিসিভির নামের আরো একটি ঔষধের মধ্যেও কার্যকরীতার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। এটি প্রয়োগে হাসপাতালে রোগীর অবস্থানকাল গড়ে ৪ দিন কমিয়ে এনেছে। গবেষকরা এখনো রেমডিসিভির নিয়ে আশা ধরে রেখেছেন। এ নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের গবেষণা চলছে। কেউ কেউ এখন রেমডিসিভির ও ডেক্সামেথাসনের মিশ্র প্রয়োগের কথাও বলছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

ডেক্সামেথাসন করোনার চিকিৎসায় কার্যকরী: বৃটিশ গবেষণা

আপডেট টাইম ০৪:৩১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

ডেস্ক::করোনার চিকিৎসার জন্য ডেক্সামেথাসন নামের এক ঔষধের কার্যকরীতার প্রমাণ পেয়েছেন বৃটিশ বিজ্ঞানীরা। একইসঙ্গে তাদের উচ্চগুনসম্পন্ন পরীক্ষায় করোনার কি চিকিৎসা কার্যকর হবে এবং হবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বৃটিশ বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত একমাত্র কার্যকর করোনার ঔষধের খোঁজ দিয়েছেন। আরো একাধিক গবেষণায় জানা গেছে ম্যালেরিয়ার ঔষধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনার ঔষধ হিসেবে কাজ করে না।
বিশ্বজুড়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কোনো চিকিৎসা কার্যকরী প্রমাণ না হওয়ায় করোনা চিকিৎসা এখনো বিভিন্ন ধারনার ওপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে। মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ফাউচি বলেন, অসম্পন্ন গবেষণা বাদ দিয়ে আমাদের এখন বৃটিশদের মতো গবেষণা দরকার। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু দিকে সফলতা পাওয়া গেছে করোনা চিকিৎসায়। তারমধ্যে রয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি বৃটিশ গবেষণা। এতে এক ধরণের স্টেরয়েডের পরীক্ষা চালানো হয়েছে যা কার্যকরীভাবে দেহে করোনার প্রকোপ কমিয়ে দিতে পারে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২,১০৪ জন রোগীর মধ্যে এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তাদেরকে তুলনা করা হয়েছে ৪,৩২১ জন রোগীর সঙ্গে যারা স্বাভাবিক চিকিৎসা পেয়ে আসছিলেন।
ফলাফলে জানা গেছে, এটি গুরুতর অসুস্ত রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার প্রায় ৩৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। একইসঙ্গে যাদের শুধু অক্সিজেন লাগছে তাদের ক্ষেত্রেও এই ঔষধ মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে। তবে এটি প্রাথমিক অবস্থায় দেয়া ঝুকিপূর্ন বলে মনে করছেন গবেষকরা। যাদের সাধারণ উপসর্গ ছিল তাদেরকে এই ঔষধ দেয়ার পর মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই হার ছিল ১৪ শতাংশ। ফাউচি মনে করেন, কাকে এই ঔষধ দেয়া যাবে ও কাকে যাবে না তা নির্ধারণ করতে পারলেই অনেক জীবন বাচানো যাবে।
এর আগে রেমডিসিভির নামের আরো একটি ঔষধের মধ্যেও কার্যকরীতার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। এটি প্রয়োগে হাসপাতালে রোগীর অবস্থানকাল গড়ে ৪ দিন কমিয়ে এনেছে। গবেষকরা এখনো রেমডিসিভির নিয়ে আশা ধরে রেখেছেন। এ নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ের গবেষণা চলছে। কেউ কেউ এখন রেমডিসিভির ও ডেক্সামেথাসনের মিশ্র প্রয়োগের কথাও বলছেন।