বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আগে দুটি নীতিমালায় চলতো বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ। শুধু নীতিমালা দিয়ে এখন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন। এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে খসড়া নিয়ে আসা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বেসিরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন, নবায়ন, শিক্ষা কার্যক্রম, কত ছাত্র থাকবে, কি সুবিধাদি থাকবে, শিক্ষকের কি যোগ্যতা থাকবে, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, অর্থ ব্যবস্থাপনা কেমন থাকবে- তা আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।’
সচিব জানান, মেডিকেল কলেজে প্রতি ১০ জন ছাত্রের জন্য একজন শিক্ষক ও ন্যূনতম ৫০ জন ছাত্র থাকতে হবে। প্রত্যেক বিষয়ে কমপক্ষে পাঁচজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না। ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। এছাড়া ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই কোটি ও মেডিকেল কলেজের জন্য তিন কোটি টাকা রিজার্ভ ফান্ড রাখার বিধান রাখা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে ২৫০ শয্যা ও ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০ শয্যার মধ্যে বিনা পয়সায় চিকিৎসায় ১০ শতাংশ শয্যা গরিব মানুষের জন্য রাখতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, নরমাল ডাম্পিংয়ে রাখলে হবে না। কলেজের জন্য মেট্রোপলিটনে কমপক্ষে দুই একর ও মেট্রোপলিটনের বাইরে চার একর জমি থাকতে হবে।’
‘এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুই বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারেন। আইনের শর্ত না মানলে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেয়া হবে।’
‘বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৭০টি ও ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ২৬টি। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৬টি ও সরকারি ডেন্টাল কলেজ একটি’ যোগ করেন তিনি।