আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::গত বছরের ৩ মে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচটি নিশ্চয়ই ভুলে যাননি ফুটবলপ্রেমীরা। ভুলে যাবেন কী করে! সে ম্যাচে রুবেল মিয়া ৫০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন। সেই সঙ্গে সাদউদ্দিনের দুরন্ত ডাইভিং ভলির গোল। ১০ জন নিয়েও আবাহনী সে ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছিল এএফসি কাপের অন্যতম সেরা দল ভারতের বেঙ্গালুরু এফসিকে। সে জয়ে তো অনেক দিন পর ফুটবলে ‘ভারত’কে হারানোরও স্বাদও নিয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
আজ নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট-লড়াই। বেঙ্গালুরুতে এএফসি কাপের আবাহনী-বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের আড়ালে থাকছে আরও একটি ‘বাংলাদেশ-ভারত’ লড়াই। ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাবের সঙ্গে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা—বাংলাদেশ-ভারত লড়াই তো বটেই।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে পরিস্কার ফেবারিট বেঙ্গালুরু। আবাহনীর ভরসা গত বছরের সেই সুখস্মৃতিই। তবে এটা ঠিক, গত বছরের তুলনায় এবার আবাহনী এএফসি কাপে গেছে নিজেদের বেশ গুছিয়েই। সে হিসেবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ার প্রত্যয়ই থাকছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে।
ঘরের মাঠে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে এবারের এএফসি কাপ শুরু করেছে আবাহনী। বেঙ্গালুরু আজই শুরু করবে তাদের এএফসি কাপ মিশন। গত বছর ঢাকায় হেরে যাওয়ার একটা বদলা নেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চয়ই ঘুরছে এই ক্লাবের খেলোয়াড়দের মাথায়। আবাহনী নিশ্চয়ই চাচ্ছে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে।
বেঙ্গালুরু এফসি ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় তারকা সুনীল ছেত্রীর ক্লাব। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে সব সময়ই আতঙ্ক ছড়ান ছেত্রী। তবে আবাহনী খুশি হতে পারে, এই ম্যাচে তাঁর না খেলার সম্ভাবনা আছে। ১৭ মার্চ ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ-আইএসএলের ফাইনাল। বেঙ্গালুরু এর ফাইনালে ওঠায় ছেত্রীসহ কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে এই ম্যাচে। তবে আবাহনীর সমস্যা তারা পাচ্ছে না দলের মূল স্ট্রাইকার নাইজেরীয় সানডে চিজোবাকে। নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে ম্যাচে লালকার্ড দেখেছিলেন তিনি। তারকাদের বাইরে রাখা হলেও বেঙ্গালুরু কিন্তু বেশ শক্তিশালীই। দলে আছেন তিনজন স্প্যানিশ ও একজন অষ্ট্রেলিয়ান ফুটবলার। কোচও স্প্যানিশ-আলবার্ট রোকা। সব মিলিয়ে শক্তিতে বেঙ্গালুরুর চেয়ে আবাহনী যে পিছিয়ে সেটি স্বীকারই করেছেন আবাহনী কোচ ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক মিডফিল্ডার সাইফুল বারী টিটু। তিনি বলেছেন, ম্যাচটি ড্র করতে পারলেও সেটিকে তিনি বড় অর্জনই বলবেন।