ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘বেঁধে দিলেন’ কাদের সিদ্দিকী! পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি

‘বাংলাদেশের মানুষ খেতে না পেয়ে ভারতে আসে’

ডেস্ক::বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী এলাকার গরিব লোকেরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না বলেই ভারতে অনুপ্রবেশ করছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। মঙ্গলবার কলকাতার দৈনিক আন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ। এটি ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী একটি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের কারণে প্রথমে কমিউনিস্ট এবং পরে তৃণমূল অনুপ্রবেশকে মদত দিয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা শুধু রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য চিন্তার। আগামী ১০ বছর পর কলকাতার নাগরিকও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে পারবে না।

তিনি বলেন, এখানে অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে এসে বেআইনিভাবে বসবাস করছে। আমরা এখানে ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে তাদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার দেব। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রারও অনেক পরিবর্তন হবে। এরপর ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও কেন লোকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে?

জবাবে অমিত শাহ বলেন, এর দুটি কারণ। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। যেকোনও পিছিয়ে-পড়া দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটি প্রথমে কেন্দ্রে হয়। আর তার সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়, গরিবদের কাছে নয়। বাংলাদেশে এখন সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না।

সেই কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে। আর যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকছে, তা নয়। তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ‘দ্বিতীয়, আমি মনে করি, এটি প্রশাসনিক সমস্যা। প্রশাসনিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। সেটি পশ্চিমবঙ্গের সরকার করেনি।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

‘বাংলাদেশের মানুষ খেতে না পেয়ে ভারতে আসে’

আপডেট টাইম ০১:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
ডেস্ক::বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী এলাকার গরিব লোকেরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না বলেই ভারতে অনুপ্রবেশ করছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। মঙ্গলবার কলকাতার দৈনিক আন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ। এটি ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী একটি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের কারণে প্রথমে কমিউনিস্ট এবং পরে তৃণমূল অনুপ্রবেশকে মদত দিয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা শুধু রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য চিন্তার। আগামী ১০ বছর পর কলকাতার নাগরিকও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে পারবে না।

তিনি বলেন, এখানে অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে এসে বেআইনিভাবে বসবাস করছে। আমরা এখানে ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে তাদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার দেব। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রারও অনেক পরিবর্তন হবে। এরপর ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও কেন লোকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে?

জবাবে অমিত শাহ বলেন, এর দুটি কারণ। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। যেকোনও পিছিয়ে-পড়া দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটি প্রথমে কেন্দ্রে হয়। আর তার সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়, গরিবদের কাছে নয়। বাংলাদেশে এখন সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না।

সেই কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে। আর যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকছে, তা নয়। তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ‘দ্বিতীয়, আমি মনে করি, এটি প্রশাসনিক সমস্যা। প্রশাসনিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। সেটি পশ্চিমবঙ্গের সরকার করেনি।’