শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকার বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গত ৩০ জুন লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হলেও সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায় ও খোলা তেল ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এদিকে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা। চাল কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি, কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। হলুদ গুঁড়া ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, বিধিনিষেধ ও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা খুব কম। এছাড়া কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অনেকেই আগে থেকে বাজার করে রেখেছে। ফলে চাহিদা কম থাকায় দামও বাড়েনি জিনিসপত্রের।