শুক্রবার র্যাব সদরদপ্তরের একটি সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীর’কে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এইসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই মামলা করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাড়িতে রা র্যাবের অভিযান শুরু হয়। প্রায় চার ঘণ্টা অভিযানের পর দিনগত মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। এসমাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিদেশি মদ, হরিণের চামড়া, বেশ কিছু ছুরি, বিদেশি মুদ্রা, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানায় ।
মাঝরাতে অভিযান শেষে এখন হেলেনা জাহাঙ্গীরকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে আটকের পর র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কিছুই জানানো হয়নি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে বলে জানান উপস্থিত কর্মকর্তারা।
এর আগে র্যাব জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৭ বোতল বিদেশি মদ ও বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাসা অননুমোদিতভাবে রাখা হরিণের চামড়া ও ওয়াকিটকিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার ব্যবহৃত দুটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। তবে সেগুলোর বৈধ কাগজ রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ভবনের তিনটি ফ্লোর মিলে তিনি বসবাস করতেন। সেখানে ১৭টি রুম রয়েছে। এসব রুমেই মিলেছে অবৈধ মাদকসহ বিভিন্ন ক্যাসিনো সরঞ্জাম। তাকে মাদকের বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে র্যাব বাদী হয়ে মামলা করবে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসায় তাকে আওয়ামী লীগের উপকমিটির পদ থেকে বাদ দেয়া হয়। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জয়যাত্রা নামে একটি আইপি টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা জাহাঙ্গীর।