ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

জার্মানিতে ম্যার্কেলের দলের হার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: জার্মানিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-কে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছে মধ্য বামপন্থী দল সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এসপিডি। দলটি ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি (সিডিইউ) ও তার শরীক দল। সোমবার বিবিসি এ খবর জানায়।

তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভাল করেছে গ্রিনস। তারা পেয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট, যা দলটির ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে এফডিপি। এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট করতে হবে।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সাথে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

অন্যদিকে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন অংকের হিসেব।

বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয়- এমন ইঙ্গিত আগই পাওয়া যাচ্ছিল। এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপি’র হাতে।

জার্মান চেন্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।

দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসাথে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে। তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এ দল দুটিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ। সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এ নির্বাচনের ফল। তবে এটা পরিষ্কার যে একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

জার্মানিতে ম্যার্কেলের দলের হার

আপডেট টাইম ১২:২৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: জার্মানিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-কে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছে মধ্য বামপন্থী দল সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এসপিডি। দলটি ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি (সিডিইউ) ও তার শরীক দল। সোমবার বিবিসি এ খবর জানায়।

তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভাল করেছে গ্রিনস। তারা পেয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট, যা দলটির ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে এফডিপি। এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট করতে হবে।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সাথে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

অন্যদিকে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন অংকের হিসেব।

বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয়- এমন ইঙ্গিত আগই পাওয়া যাচ্ছিল। এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপি’র হাতে।

জার্মান চেন্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।

দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসাথে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে। তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এ দল দুটিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ। সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এ নির্বাচনের ফল। তবে এটা পরিষ্কার যে একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।