ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

ভালো আছেন মাহাথির মোহাম্মদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সেদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাকে আপাতত হাসপাতালে থেকে বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মাহাথিরের মেয়ে এসব তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।

এক বিবৃতিতে মেয়ে মেরিনা বলেছেন, ৯৬ বছর বয়সী মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি মজাও করছেন।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মাহাথির তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে মানুষজনকে খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মেরিনা বলেছেন, যারা মাহাথিরের দ্রুত আরোগ্য চেয়ে প্রার্থনা করেছেন, তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, তাদের প্রতি মাহাথির ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

গত ডিসেম্বরে একই হাসপাতালে মাহাথিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সে মাসেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি আবার তাকে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন তিনি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মাহাথির আগেও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল।

মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এখন কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাহাথিরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার মুখপাত্র ও মেয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহাথির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে আবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। একসময় যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, সেই দলের বিরুদ্ধে গড়া জোটের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে অন্তর্কোন্দলের জেরে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করলে সরকার ভেঙে যায়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

ভালো আছেন মাহাথির মোহাম্মদ

আপডেট টাইম ০৩:০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সেদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তাকে আপাতত হাসপাতালে থেকে বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মাহাথিরের মেয়ে এসব তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।

এক বিবৃতিতে মেয়ে মেরিনা বলেছেন, ৯৬ বছর বয়সী মাহাথিরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনকি মজাও করছেন।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মাহাথির তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে মানুষজনকে খুব বেশি উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মেরিনা বলেছেন, যারা মাহাথিরের দ্রুত আরোগ্য চেয়ে প্রার্থনা করেছেন, তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, তাদের প্রতি মাহাথির ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।

গত ডিসেম্বরে একই হাসপাতালে মাহাথিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সে মাসেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি আবার তাকে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন তিনি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মাহাথির আগেও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাকে বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল।

মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এখন কী কী শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাহাথিরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার মুখপাত্র ও মেয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহাথির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে আবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। একসময় যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, সেই দলের বিরুদ্ধে গড়া জোটের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে অন্তর্কোন্দলের জেরে দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করলে সরকার ভেঙে যায়।