ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জায়েদ-নিপুণের লড়াই: কে পাচ্ছেন পদ, জানা যাবে বুধবার

ডেস্ক:: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে হাইকোর্টে জায়েদ খান ও নিপুণের আইনি লড়াই চলছে। ওই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল শুনানি হবে আগামীকাল বুধবার।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল শুনানি আজ মঙ্গলবার হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় চিত্রনায়িকা নিপুণ আদালতের আদেশের অবমাননা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন জায়েদ খানের আইনজীবী।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

জায়েদ খানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ শুনানির দিন ধার্য করেন।

এ দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে পারবেন না বলে জানান আপিল বিভাগ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জায়েদ-নিপুণের লড়াই: কে পাচ্ছেন পদ, জানা যাবে বুধবার

আপডেট টাইম ০৩:২৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ডেস্ক:: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে হাইকোর্টে জায়েদ খান ও নিপুণের আইনি লড়াই চলছে। ওই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল শুনানি হবে আগামীকাল বুধবার।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের রুল শুনানি আজ মঙ্গলবার হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় চিত্রনায়িকা নিপুণ আদালতের আদেশের অবমাননা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন জায়েদ খানের আইনজীবী।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

জায়েদ খানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ শুনানির দিন ধার্য করেন।

এ দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে পারবেন না বলে জানান আপিল বিভাগ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।