ডেস্ক : একটি আলোচনার সম্ভাবনা থেকে ‘সাময়িক অভিযান’ বন্ধ রাখান ঘোষণা দিয়েছিলো রাশিয়া। কিন্তু কিয়েভ সেই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করায় ইউক্রেনে চতুর্মুখী হামলার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের দাবি, বেলারুসে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, তা কিয়েভ নাকচ করে দিয়েছে। সেজন্য চতুর্দিক থেকে ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে স্পুটনিকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কিয়েভের সাথে আলোচনায় টেবিলে বসা যাবে, এমন আশা নিয়ে শনিবার সাময়িকভাবে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু কিয়েভ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ায় আবারো ‘সামরিক অভিযান’ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একটি বিবৃতিতে রাশিয়ার সেনার মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকোভ বলেন, ‘ইউক্রেন আলোচনার প্রস্তাব খারিজ দেয়ায় অভিযানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাহিনীর সব বিভাগকে সব দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
শনিবার কিয়েভে গুলির শব্দ শোনা গেছে। শহরের বাইরেও লড়াই হয়েছে। যা থেকে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা যে বড় বাহিনীর রাস্তা সুগম করতে লড়াই চালাচ্ছে রাশিয়ার ছোট বাহিনী। দুপুর-বিকেলের দিকেই ব্রিটেন এবং আমেরিকা জানিয়েছিল, কিয়েভের কেন্দ্রস্থল থেকে রাশিয়ার সেনা ৩০ কিলোমিটার দূরে আছে। এরই মধ্যে ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পরিকাঠামো, সাধারণ নাগরিক এবং আবাসনকে নিশানা করছে রাশিয়া। তিনি বলেন, ‘কিয়েভের জন্য লড়াই মারাত্মক লড়াই করছি। আমরাই জিতব।’
রাশিয়ায় টুইটারকে ব্লক করা হয়েছে বলে খবর
রুশ ব্যবহারকারীদের জন্য টুইটারে ঢোকা ব্লক করে দেয়া হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে ইন্টারনেট কোম্পানি নেটব্লকস । শনিবার সকাল থেকে রাশিয়ায় টুইটারে ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ইউক্রেনে রুশ অভিযানের নানা নাটকীয় ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছিল এবং এগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছিল।
গত কিছু দিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং রুশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা চলছিল।
রাশিয়া বলছে, ফেসবুক রাশিয়ার সরকারি ও ক্রেমলিন সমর্থক চ্যানেলগুলোর ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তা তুলে নেবার জন্য তারা দাবি জানালেও মেটা কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করছিল।
রাশিয়া ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে তারা রুশ নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করছে, এবং তাদেরকে ব্লক করারও হুমকি দেয়।
এখন পর্যন্ত অবশ্য রাশিয়ায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম স্বাভাবিকভাবেই দেখা যাচ্ছে।