নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হয়রানির’ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ৪০ জন বিশ্বনেতা খোলা চিঠি লেখার পরপরই তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ইলিনয় অঙ্গরাজ্য থেকে বারবার সিনেটর নির্বাচিত ডিক ডারবিন সিনেটের মেজরিটি হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৪০ জন বিশ্বনেতার উক্ত খোলা চিঠির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে ওয়াশিংটন ভিত্তিক স্বনামধন্য দারিদ্র বিমোচন সংস্থা ‘রেজাল্টস’ লিখেছিলঃ চল্লিশ জন বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক খোলা চিঠিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের “সুস্থতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করেছেন, যা গতকাল ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে।
রেজাল্টস এর উক্ত টুইট শেয়ার করে সিনেটর ডিক ডারবিন নিজের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে লিখেছেনঃ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলের ‘লিড সিনেট স্পনসর’ হিসেবে, আমি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে চলমান হয়রানির বিষয়ে এসব উদ্বেগগুলোর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস থেকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল’ পেয়েছিলেন ড. ইউনূস। ওই পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করার সময় তার পক্ষে ‘লিড সিনেট স্পনসর’ ছিলেন সিনেটর ডিক ডারবিন।
আমেরিকান আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ ডারবিন সেই ১৯৯৭ সাল থেকে সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষমতাসীন সল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ডারবিন এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সিনেটে রয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি ‘সিনেট ডেমোক্রেটিক হুইপ’ (সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর, ২০২১ সাল থেকে তিনি ‘সিনেট ‘মেজরিটি হুইপ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসাথে তিনি সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিরও চেয়ারম্যান। ২২ জন সিনেটর নিয়ে গঠিত এই স্ট্যান্ডিং কমিটি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে নজরদারি করে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আল গোর ডারবিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তার রানিংমেট হওয়ার জন্য বিবেচনা করেছিলেন বলে সে সময় পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল।