আজম রেহমান,ঠাকুরগাঁও॥
ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুর উপজেলার আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি ভূমিহীন ওই উপজেলার শতাধিক পরিবার। একটি সময় রাস্তার পাশে বা অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করলেও এখন নিজের ঘর পেয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমনি উপহারে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
ঠাকুরগাঁও থেকে ৬০ কিলোমিটির দূরে হরিপুর উপজেলা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় এই উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫৩৬টি,দ্বিতীয় পর্যায় ৪০০টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দেয়া হয় ঘর। এতে হাসি ফুটেছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে।
২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলার ১৩১৬টি ঘর উদ্বোধনের মাধ্যমে হরিপুর উপজেলাটিকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা ও জেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ঘর নির্মানের শুভ উদ্বোধন করেছেন। নির্মিত এই কেন্দ্রগুলোতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে ভূমিহীন পরিবারগুলোর। ফিরেছে পরিবারগুলোর মধ্যে স্বচ্ছলতা। নিজের ঘর পেয়ে খুশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে,ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩টি ধাপে আশ্রয়নের ঘর করা হয়েছে। প্রথম তিনটি ধাপে ৬ হাজার ৯শ ১২টি ঘর করা হয়। সেই সাথে চতুর্থ ধাপে আরো ১২শ ৭৩টি ঘর করা হবে। ২২ মার্চ হরিপুর উপজেলায়কে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার পাশাপাশি জেলার ৫২২টি নতুন ঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী মে মাসের মধ্যে বাকী ৭৫১ টি ঘরের কাজ শেষ করার মাধ্যমে পুরো জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নাল,ফারুক সহ বেশ কয়েকজন জানান,একটি সময় আমাদের কোন ঘর ছিলোনা। বিগত কোনো সরকার বিনামূল্যে জায়গাসহ রঙিন টিনে পাকাঘর পাওয়ার এমন স্বপ্ন দেখাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। তার জন্য দোয়া রইলো।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন,জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোজার আশ্রয়স্থল গড়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ নিয়েছেন আমাদের হরিপুর উপজেলায়। আমার প্রতিটি সময় জনগনকে বলতাম একটি মানুষও গৃহহীন থাকবেনা আজ সেই স্বপ্ন পূরণের পথে। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম শরীফুল হক বলেন,গুণগতমান বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঘরগুলোর নির্মাণ করা হয়েছে। আমার প্রতিটি গৃহহীন ব্যক্তির বিষয়ে সঠিক তথ্য নিয়েই তাদের মাঝে ঘর গুলো দিয়েছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো.মাহবুবুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে আমাদের একটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি আমাদের জেলায় আরো ঘর নির্মানের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে নতুন করে ঘর নির্মান কাজের উদ্বোধন করবেন। আশা করছি আগামী মে মাসের মধ্যে পুরো জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে। এই ঘর নির্মানের বিষয়ে যদি কেউ কোন অপকর্ম করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে হুশিয়ারিও দেন তিনি।