ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বালিয়াডাঙ্গীতে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আজম রেহমান:: সোমবার ঠাকুরগাঁওযের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সামাজিক সম্প্রীতি উদ্বুদ্ধকরণ, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করণ, ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউএনও বিপুল কুমার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাষক মো.মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম, প্রবীর কুমার, সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ প্রমুখ।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভ্রাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্যদিকে ভ্রাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না। একই সাথে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া , অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক বিষয় পরিহার করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সকল ধর্মের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সে বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপসহ উস্কানিমুলক বিষয় তুলে ধরে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আগামী শারদীয় দুর্গাপূজাসহ সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে দায়িত্বশীল হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দিরসহ ধর্মীয় উপসানালয়ে এ বিষয়ে সচেতন করতে সবার প্রতি আহবান জানান পুলিশ সুপার মহোদয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে যেভাবে উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে এবারও নিরাপদে নির্বিঘ্নে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

বালিয়াডাঙ্গীতে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ০৭:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
আজম রেহমান:: সোমবার ঠাকুরগাঁওযের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সামাজিক সম্প্রীতি উদ্বুদ্ধকরণ, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করণ, ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে উপজেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউএনও বিপুল কুমার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাষক মো.মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম, প্রবীর কুমার, সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ প্রমুখ।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভ্রাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্যদিকে ভ্রাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না। একই সাথে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া , অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক বিষয় পরিহার করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সকল ধর্মের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সে বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপসহ উস্কানিমুলক বিষয় তুলে ধরে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আগামী শারদীয় দুর্গাপূজাসহ সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে দায়িত্বশীল হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দিরসহ ধর্মীয় উপসানালয়ে এ বিষয়ে সচেতন করতে সবার প্রতি আহবান জানান পুলিশ সুপার মহোদয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে যেভাবে উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে এবারও নিরাপদে নির্বিঘ্নে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।