এন এম নুরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের ২৯ মাইল নামক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ডাকাত সদস্য ঠাকুরগাও-২ আসনের এমপি দবিরুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার ফরহাত আহম্মদ। ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার ফরহাত আহম্মদ বলেন, রাত ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে ১৪/১৫ জনের একদল ডাকাত ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের হাড়িপুকুর নামক স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়লে ডাকাতেরা পিছু হটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপরিচিত (৩২) একজন ডাকাতকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। তবে আহতদের সদর হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের খোঁজখবর নিতে সেই হাসপাতালে গেলে পুলিশ সাংবাদিকদের পুলিশ লাইন হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১২ মার্চ রাতে এমপি দবিরুল ইসলামের বালিয়াডাঙ্গীস্থ’ বাসায় ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- রুবেল ইসলাম (২৬), মামনুর রশিদ মামুন (৩৩), সাবেদুল ইসলাম সাবেদ (৩৬), মামুন অর রশিদ (৪৭) ও কমল (৪৭)। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ ২১ভরি স্বর্ণালংকার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর হতে উদ্ধার করেছে। সেইসাথে দোকান মালিক ইমরান আলী (৩৫)কে এবং ডাকাতদের পরিবহনকৃত পাগলুর চালক রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।