কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রলীগের এক নেতার করা মামলায় রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রাশেদের আত্মীয় ও বন্ধুরা অভিযোগ করেন, আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাশেদকে ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাশেদের সঙ্গে থাকা মাহফুজ খান নামের অপর একজনকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাঁদের অভিযোগ।
পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাশেদের বন্ধু দীন ইয়ামিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি, রাশেদ ও মাহফুজ ভাষানটেকের মজুমদার মোড়ে রাশেদের আত্মীয়ের বাসার সামনে ছিলেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরে ও সাদাপোশাকে কয়েকজন তাঁদের সামনে আসেন এবং তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে ওই এলাকার কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের গতিবিধি সন্দেহ হলে রাশেদ পাশের বাসার ছাদে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখান থেকে তাঁকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রাশেদের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
দীন ইয়ামিন বলেন, রাশেদের সঙ্গে থাকা মাহফুজ খানকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাশেদের বড় বোন রূপালী বেগমও প্রথম আলোকে রাশেদের আটক হওয়ার খবর জানিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম বিষয়টি আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করছে, কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের থানার কেউ রাশেদকে আটক করেনি।’