ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত গোল হজম থেকে ব্রাজিল কিছুই শেখেনি!

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নেইমার-কুতিনহোরা বিদায় নেওয়ার পর তুমুল সমালোচনা চলছে ব্রাজিলে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জাতীয় দল নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের মানসিকতাকে কাঠগড়ায় তুলেছে। নেইমার ও জেসুসকে ধুয়ে দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম

বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ই শেষ কথা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে। রানার্সআপ হওয়া কিংবা সেমিফাইনালে ওঠাও তাদের কাছে ব্যর্থতা। অথচ, নেইমার-কুতিনহোরা ছিটকে পড়েছেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই! ব্রাজিলে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই চলছে তীব্র সমালোচনা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তো নেইমারদের রীতিমতো ধুয়েই দিচ্ছে। ‘এস্তাদো দে সাও পাওলো’র কলামিস্ট মাউরো সিজার যেমন বলেছেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হার থেকে ব্রাজিল কিছুই শেখেনি।’ সিজারের এই তোপ কিন্তু শুধু নেইমারদের তাক করে নয়, বরং জাতীয় দল নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের মানসিকতাকেও দুষেছেন তিনি। চার বছর আগে ঘরের মাঠে সেই হার থেকে ব্রাজিলিয়ানরা নাকি কোনো শিক্ষাই নেয়নি। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে তারা এখনো খাটো চোখে দেখে থাকে, কলামে এমনই লিখেছেন সিজার, ‘চার বছর আগে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হার থেকে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ানই কিছু শেখেনি। প্রতিপক্ষকে ঠাট্টা আর তাদের সামর্থ্যকে খাটো চোখে দেখার ধারাবাহিকতা চলছে দেশের জাতীয় খেলায়। কিছু সংবাদমাধ্যম আছে যারা তথ্য দেওয়ার চেয়ে সমর্থন (জাতীয় দল) দেয় বেশি। বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণের চেয়ে তারা বাস্তবতাকেই বিকৃত করে থাকে।’  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নেইমারের সমালোচনাই করেছে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বকাপে নেইমারের ‘ডাইভ’ দেওয়ার প্রবণতা খোদ ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমই মেনে নিতে পারেনি। ব্রাজিলের পাঁচ ম্যাচে ২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড প্রতি ম্যাচেই ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছেন। দেশটির টিভি চ্যানেল ‘স্পোর’-এর সঞ্চালক মার্সেলো বারেতো বলেছেন, ‘রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরে তাকিয়ে নেইমারকে ভাবতে হবে, সবাই কেন তাকে এত অপছন্দ করছে। হ্যাঁ, সে অবশ্যই জয় দিয়ে এসব মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না।’

নেইমারের সমালোচনা করে বারেতো আরও বলেছেন, ‘অনেক মানুষ তাকে অপছন্দ করে। একবার ভেবে দেখুন, তার ব্যাপারটি (ডাইভ) নিয়ে আমাদের কতবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে নেইমারকে ভাবতে হবে।’  ব্রাজিলের পাঁচ ম্যাচে ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস কোনো গোল পাননি। প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা গেছে, তিনি ফর্মে নেই। কিন্তু ব্রাজিলের কোচ তিতে সব ম্যাচেই জেসুসকে প্রথম একাদশে খেলিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এতে খেপেছে। তাদের যুক্তি, জেসুসের বদলে প্রথম একাদশে রবার্তো ফিরমিনোকেও খেলানো যেত। ‘গ্লোবো স্পোর্তে’র ভাষ্য, ‘জেসুস কোনো গোল করতে পারেনি। যেকোনো বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ৯ নম্বর স্ট্রাইকার হিসেবে এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে আলিসিন্দো, ১৯৭৪ বিশ্বকাপে মিরান্দিনহাও গোল পাননি। কিন্তু তাঁরা জেসুসের চেয়ে কম ম্যাচ খেলেছিলেন।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সাত গোল হজম থেকে ব্রাজিল কিছুই শেখেনি!

আপডেট টাইম ০১:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নেইমার-কুতিনহোরা বিদায় নেওয়ার পর তুমুল সমালোচনা চলছে ব্রাজিলে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জাতীয় দল নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের মানসিকতাকে কাঠগড়ায় তুলেছে। নেইমার ও জেসুসকে ধুয়ে দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম

বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ই শেষ কথা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে। রানার্সআপ হওয়া কিংবা সেমিফাইনালে ওঠাও তাদের কাছে ব্যর্থতা। অথচ, নেইমার-কুতিনহোরা ছিটকে পড়েছেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই! ব্রাজিলে তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই চলছে তীব্র সমালোচনা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তো নেইমারদের রীতিমতো ধুয়েই দিচ্ছে। ‘এস্তাদো দে সাও পাওলো’র কলামিস্ট মাউরো সিজার যেমন বলেছেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হার থেকে ব্রাজিল কিছুই শেখেনি।’ সিজারের এই তোপ কিন্তু শুধু নেইমারদের তাক করে নয়, বরং জাতীয় দল নিয়ে ব্রাজিলিয়ানদের মানসিকতাকেও দুষেছেন তিনি। চার বছর আগে ঘরের মাঠে সেই হার থেকে ব্রাজিলিয়ানরা নাকি কোনো শিক্ষাই নেয়নি। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে তারা এখনো খাটো চোখে দেখে থাকে, কলামে এমনই লিখেছেন সিজার, ‘চার বছর আগে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হার থেকে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ানই কিছু শেখেনি। প্রতিপক্ষকে ঠাট্টা আর তাদের সামর্থ্যকে খাটো চোখে দেখার ধারাবাহিকতা চলছে দেশের জাতীয় খেলায়। কিছু সংবাদমাধ্যম আছে যারা তথ্য দেওয়ার চেয়ে সমর্থন (জাতীয় দল) দেয় বেশি। বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণের চেয়ে তারা বাস্তবতাকেই বিকৃত করে থাকে।’  স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নেইমারের সমালোচনাই করেছে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বকাপে নেইমারের ‘ডাইভ’ দেওয়ার প্রবণতা খোদ ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমই মেনে নিতে পারেনি। ব্রাজিলের পাঁচ ম্যাচে ২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড প্রতি ম্যাচেই ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছেন। দেশটির টিভি চ্যানেল ‘স্পোর’-এর সঞ্চালক মার্সেলো বারেতো বলেছেন, ‘রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরে তাকিয়ে নেইমারকে ভাবতে হবে, সবাই কেন তাকে এত অপছন্দ করছে। হ্যাঁ, সে অবশ্যই জয় দিয়ে এসব মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু আপাতত তা সম্ভব হচ্ছে না।’

নেইমারের সমালোচনা করে বারেতো আরও বলেছেন, ‘অনেক মানুষ তাকে অপছন্দ করে। একবার ভেবে দেখুন, তার ব্যাপারটি (ডাইভ) নিয়ে আমাদের কতবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে নেইমারকে ভাবতে হবে।’  ব্রাজিলের পাঁচ ম্যাচে ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস কোনো গোল পাননি। প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা গেছে, তিনি ফর্মে নেই। কিন্তু ব্রাজিলের কোচ তিতে সব ম্যাচেই জেসুসকে প্রথম একাদশে খেলিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এতে খেপেছে। তাদের যুক্তি, জেসুসের বদলে প্রথম একাদশে রবার্তো ফিরমিনোকেও খেলানো যেত। ‘গ্লোবো স্পোর্তে’র ভাষ্য, ‘জেসুস কোনো গোল করতে পারেনি। যেকোনো বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ৯ নম্বর স্ট্রাইকার হিসেবে এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে আলিসিন্দো, ১৯৭৪ বিশ্বকাপে মিরান্দিনহাও গোল পাননি। কিন্তু তাঁরা জেসুসের চেয়ে কম ম্যাচ খেলেছিলেন।’