কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও এখনো আলোচনায় নেইমার। আলোচনা মাঠে তাঁর অহেতুক গড়াগড়ি নিয়ে। ব্রাজিল তারকার এই কাণ্ড নিয়ে নিয়মিত ‘ট্রল’ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পর্তুগালের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটও পিছিয়ে নেই। তারা অবশ্য নেইমারের নাটুকেপনা ব্যবহার করেছে ইতিবাচকভাবে। মেক্সিকানরা আবার এক কাঠি সরেস। নেইমারের ‘ডাইভ’ দেওয়ার বদঅভ্যাস নিয়ে সম্ভবত সবচেয়ে চমকপ্রদ আর মজার আয়োজনটি তারাই করেছে।
শেষ ষোলোয় ব্রাজিলের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে মেক্সিকো। ওই ম্যাচে সামান্য বাধা পেলেই নেইমার যেভাবে মাটিতে পড়ে গেছেন, সেটির সমালোচনা করেছেন মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও। নেইমারের ওপর মেক্সিকানদের একটু চটে থাকা তাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁরা যে এতটা রসিক তা জানত কে!
মেক্সিকোর শীর্ষস্থানীয় লিগ ‘লিগা এমএক্স’-এর প্রস্তুতি নিতে শনিবার কোস্টারিকার একটি ক্লাবের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে তিজুয়ানা। সেই ম্যাচের বিরতিতে সমর্থকদের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মেক্সিকান ক্লাবটি। প্রতিযোগিতার নাম ‘নেইমার চ্যালেঞ্জ’। অংশ নেওয়া সমর্থকদের কাজ হলো মাঠের কিক-অফের জায়গা থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে গোলপোস্ট পর্যন্ত যেতে হবে। যে সবার আগে পৌঁছাবে সে জয়ী। কিন্তু মাঠে শরীর গড়াতে গিয়ে বেশির ভাগ সমর্থকই দিগ্ভ্রান্ত হয়েছেন।তিজুয়ানার এমন চমকপ্রদ আয়োজনের পেছনে বিশ্বকাপে নেইমারের পারফরম্যান্স। সেটা তাঁর দুই গোলের জন্য নয়, ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য! ব্রাজিলের পাঁচ ম্যাচেই এ কাজটি করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। ইউরোপের এক সংবাদমাধ্যম হিসাব কষে বেরও করেছে বিশ্বকাপে শুধু ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্যই মাঠে ১৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় পড়ে ছিলেন নেইমার।